প্রতীকী ছবি
ইঙ্গিত ছিলই। সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই বিএসএনএলের স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প (ভিআরএস) আসবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর। পাশাপাশি, এ রাজ্যে দু’টি-সহ দেশ জুড়ে প্রথম পর্যায়ে ১৪টি উদ্বৃত্ত জমি বিক্রির জন্য চিহ্নিত করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলি সংস্থাটি।
গত মাসে বিএসএনএল এবং এমটিএনএলের পুনরুজ্জীবন প্রকল্পে সায় দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তাতে ভিআরএস, উদ্বৃত্ত জমি বিক্রি, ৪জি পরিষেবার জন্য স্পেকট্রাম দেওয়া ইত্যাদি পরিকল্পনা রয়েছে।
অল ইন্ডিয়া রিটায়ার্ড বিএসএনএল এগ্জ়িকিউটিভস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রহ্লাদ রাইয়ের দাবি, টেলি মন্ত্রকের কর্তারা জানিয়েছেন, আগামিকাল, সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে বিএসএনএল ও এমটিএনএলের ভিআরএস প্রকল্প ঘোষণা হবে। ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা চালু থাকবে।
এ নিয়ে শনিবার বিএসএনএলের সিএমডি পি কে পুরওয়ার অবশ্য দিনক্ষণ কিছু স্পষ্ট করেননি। তবে ফোনে তিনি বলেন, ‘‘আগামী সপ্তাহেই প্রকল্পটি সকলের সামনে আসবে। সেই সুবিধা নিতে এক মাস সময় পাবেন কর্মী-আধিকারিকেরা।’’
সংস্থা সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই আঁটঘাট বেঁধে তার প্রস্তুতি সেরে রেখেছে বিএসএনএল। যেমন, স্বেচ্ছাবসর মসৃণ ভাবে কার্যকরের লক্ষ্যে তার বিভিন্ন ধাপে নজরদারি চালাতে সদর দফতরে একাধিক কমিটি গড়া হয়েছে। সে রকমই বিভিন্ন সার্কলের জন্য আলাদা নোডাল অফিসারও নিয়োগ করা হয়েছে। কর্মী-আধিকারিকের সংখ্যা কমলে কাজে যাতে অসুবিধা না-হয়, সে জন্য প্রতিটি সার্কলের অধীনে বিভিন্ন বিভাগের পুনর্গঠনের নির্দেশও পাঠানো হয়েছে।
অন্য দিকে সূত্রের খবর, দেশের সব সার্কলে উদ্বৃত্ত সম্পত্তির তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল সদর দফতর। প্রাথমিক ভাবে চিহ্নিত ৪৬টি জমি-বাড়ি তিনটি পর্যায়ে বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। প্রথম পর্যায়ে দ্রুত ১৪টি বিক্রির প্রস্তুতি সেরে রাখতে সার্কলগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, সার্কলগুলির উচ্চপদস্থ কর্তাদের নিয়ে কমিটি গড়ার কথাও। সংস্থাটির হিসেবে, সেগুলির সম্ভাব্য বাজার দর ২০,১৬০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এ রাজ্যে কলকাতা সার্কলের মধ্যমগ্রামে এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গোপালপুরে সংস্থার দু’টি সম্পত্তি রয়েছে। তাদের সম্ভাব্য বাজার দর ধরা হয়েছে যথাক্রমে ৩০২.৮৭ কোটি ও ৪৩৯.২৯ কোটি টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy