প্রতীকী ছবি।
তেলের আমদানি নির্ভরতা এবং দূষণ কমাতে কেন্দ্র বার বার বিকল্প জ্বালানি ও বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহারে জোর দিচ্ছে। তবে বুধবার গাড়ি শিল্পের সংগঠন সিয়ামের বার্ষিক সভায় সংস্থাগুলির দাবি, ভবিষ্যৎ তো পরের ব্যাপার, আগে ভাবতে হবে বর্তমানে ব্যবসাকে ছন্দে ফেরানো যাবে কী করে। করোনার আগেই অর্থনীতির ঝিমুনিতে যা মার খেতে শুরু করেছে। এই শিল্পের সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রের সদিচ্ছা নিয়েও কার্যত প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষ কর্তাদের কথায়। মারুতি-সুজ়ুকির চেয়ারম্যান আর সি ভার্গব বলেছেন, বিবৃতিতে খামতি নেই। কিন্তু তা কার্যকর করায় সুদৃঢ় পদক্ষেপের অভাব। আর টিভিএস মোটরের সিএমডি বেণু শ্রীনিবাসন সন্দেহ প্রকাশ করন গাড়ি শিল্পের যথাযথ গুরুত্ব পাওয়া নিয়েও। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এই সব আঙুল আদতে উঠছে কেন্দ্রের দিকেই।
কেন্দ্রেরর দাবি, উৎপাদনমুখী শিল্প (ম্যানুফ্যাকচারিং) গাড়ি শিল্পকে ছাড়া এগোতে পারবে না। কিন্তু সভার গোড়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাঠানো বিবৃতি হোক কিংবা পরে সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী অথবা নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত, সকলেই সেই বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার ও বৈদ্যুতিক গাড়ির গণ্ডিতেই আটকে রইলেন।
সিয়ামের প্রেসিডেন্ট কেনিচি আয়ুকায়ার দাবি, গাড়ি বিক্রি বহু বছর পিছিয়ে গিয়েছে। ভার্গবের বক্তব্য, ‘‘এই শিল্প নিয়ে অনেক বিবৃতি দেওয়া হয়। কিন্তু ব্যবসার চাকা ঘোরাতে বাস্তবে পদক্ষেপ দেখি না। শুধু কথায় বিক্রি বাড়ে না।’’ যদিও রাজস্ব সচিব তরুণ বজাজ গাড়ি শিল্পকে সময়ের সঙ্গে প্রযুক্তিগত বদলের পাশাপাশি কেন মানুষের আয় বাড়লেও বিক্রি বাড়ছে না, তা বিশ্লেষণের পরামর্শ দেন। তবে ভার্গবের দাবি, চড়া কর ও নানা নিয়মে গাড়ি কেনার খরচ বাড়ছে। যা মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের বাজার থেকে দূরে সরাচ্ছে। অথচ শুধু ধনীরা দামি গাড়ি কিনলে ব্যবসা বাড়ে না। তিনি বলেন, ‘‘কোন ধরনের ইঞ্জিন ব্যবহার করা দরকার, সেটা বড় নয়। বৈদ্যুতিক গাড়ির পথে হাঁটা নিয়েও প্রশ্ন নেই। কিন্তু তা ক্রেতার সামর্থ্যের মধ্যে থাকতে হবে!’’
বেণুর প্রশ্ন, কর্মসংস্থান থেকে রাজস্ব ও বিদেশি মুদ্রা আয়, সব ক্ষেত্রেই গাড়ি শিল্পের ভূমিকা থাকলেও তা কতটা গুরুত্ব পায়? নিত্য যাতায়াতের সঙ্গী দু’চাকার গাড়িতেও দামি পণ্যের মতো বিপুল কর বসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy