কেন্দ্রের মুখ্য উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরনের। —ফাইল চিত্র।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ৪ শতাংশের নীচে নেমেছে। খাতায়-কলমে আগের থেকে বেশ কিছুটা কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির গতি। তবে বাস্তবে আনাজ-সহ বিভিন্ন খাবার কিনতে গিয়ে এখনও হাত পুড়ছে বলেই অভিযোগ বহু মানুষের। এই পরিস্থিতিতে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরনও। ইঙ্গিত দিলেন, এই সমস্যাই রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের সুদের হার নির্ধারণকে প্রভাবিত করছে।
জিডিপি বৃদ্ধি নিয়ে নাগেশ্বরনের বার্তা, চলতি অর্থবর্ষে তা থাকবে ৬.৫%-৭%। তিনি এটাও জানান, প্রকৃত অর্থে (রিয়েল টার্ম) বৃদ্ধির হার ৬.৫% হলেও, মূল্যবৃদ্ধিকে ধরে হবে (নমিনাল টার্ম) ১১%। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বৃদ্ধি যে ৭ শতাংশের অনেকটা নীচে থাকতে পারে, সেই ইঙ্গিত এখানে স্পষ্ট। বিশেষত নাগেশ্বরন যেহেতু মেনেছেন, বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে ভারতীয় অর্থনীতির তিনটি চ্যালেঞ্জ— চড়া মূল্যবৃদ্ধি, সুদ এবং রাজকোষ ঘাটতি। এমনকি রফতানি বাণিজ্যও বাধা হতে পারে। কারণ বিশ্ব অর্থনীতি শ্লথ এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনায় উত্তপ্ত।
শুক্রবার বণিকসভা বেঙ্গল চেম্বারের এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল ব্যবস্থায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা বলেন, “খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এখনও উঁচুতে। তবে সার্বিক ভাবে মূল্যবৃদ্ধির হার ভাল জায়গায় রয়েছে। সেটা না হলে সুদের হার ৬.৫০% ছাড়িয়ে যেত।’’ তাঁর দাবি, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি যে হারে হয়েছে, তা প্রশংসনীয়। দেশ যে বিশ্বের মধ্যে দ্রুততম গতিতেই এগোবে সে ব্যাপারে কোনও সংশয় নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy