উর্বশী সিংহ। —নিজস্ব চিত্র।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স নিয়ে বহু আলোচনা হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতের দিশা লুকিয়ে আছে কোয়ান্টাম প্রযুক্তির মধ্যে। শুক্রবার এবিপি গোষ্ঠী আয়োজিত ‘ইনফোকম’-এ কার্যত এই সুরেই বক্তৃতা করলেন পদার্থবিজ্ঞানী তথা রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপিকা উর্বশী সিংহ। তাঁর মতে, কোয়ান্টাম এমনই এক প্রযুক্তি যা সুস্থায়ী উন্নয়নের (সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট) শরিক হতে পারে। তবে কোয়ান্টাম প্রযুক্তির যেমন সুবিধা আছে, তেমনই এই প্রযুক্তিকে বৃহত্তর ক্ষেত্রে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে কিছু প্রতিকূলতা এখনও আছে। সেই প্রতিকূলতা দূর করতে কোয়ান্টাম প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।
এ দিন বক্তৃতায় উঠে এসেছে যে, কোয়ান্টাম তত্ত্বের প্রয়োগের মধ্যে এক অনন্ত সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে যা আগামী দিনে মানব সমাজে বড় মাপের পরিবর্তন আনতে পারে। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যে ‘দায়িত্বহীন’ ব্যবহার ইদানীং দেখা যাচ্ছে, কোয়ান্টামের ক্ষেত্রে তেমন নয়। বরং রাষ্ট্রপুঞ্জের যে সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্য, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে পারে কোয়ান্টাম। তবে কোয়ান্টাম নির্ভর ছোট মাপের যন্ত্র তৈরি করা গেলেও বৃহত্তর ক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযোগী বড় যন্ত্র তৈরি করা ব্যয়সাপেক্ষ এবং সে ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন। কোয়ান্টামকে মানব সমাজের উন্নয়নের কাজে লাগাতে হলে এ দিকে নজর দেওয়া জরুরি।
বক্তৃতার বাইরে একান্ত সাক্ষাৎকারে অধ্যাপিকা সিংহ বলেন, “কোয়ান্টাম মানে শুধুই কম্পিউটার প্রযুক্তি, এই ভাবনার বদল প্রয়োজন। ডেটা সায়েন্স বা সিকিয়োরিটি-সহ নানা ক্ষেত্রে কোয়ান্টামের ব্যবহার হয়। কম্পিউটার বিজ্ঞানের কিছু ক্ষেত্রে কোয়ান্টাম ব্যবহার করলেও কোয়ান্টাম কম্পিউটিং বিষয়টি এখনও অনেক দূরে।” প্রসঙ্গত, রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরাও উপগ্রহ নিয়ন্ত্রিত কোয়ান্টাম কমিউনিকেশন নিয়ে গবেষণা করছেন। সূত্রের খবর, সম্প্রতি তাঁদের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে, লাদাখের হানলে উপগ্রহ নির্ভর কোয়ান্টাম কমিউনিকেশনের উপযুক্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy