সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষদের হাতে বাড়তি টাকা জুগিয়ে বাজারে চাহিদা বাড়াতে বাজেটে আয়করে সুরাহা দিয়েছেন মোদী সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। মঙ্গলবার একই লক্ষ্যে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কও যাতে সুদের হার কমায়, তার জোরালো সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় অর্থসচিব তুহিন কান্ত পাণ্ডে। এ দিনই স্টেট স্টেট ব্যাঙ্কের আর্থিক গবেষণা রিপোর্টে ইঙ্গিত, এ বার সুদ কমবে। অর্থসচিব এবং এসবিআইয়ের সমীক্ষা, দু’পক্ষেরই দাবি, সুদের হার কমানোর জমি তৈরি। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ককে শুধু কাজটা করে ফেলতে হবে। অর্থাৎ কমাতে হবে সুদ। এই দফায় কমপক্ষে ২৫ বেসিস পয়েন্ট এবং সারা বছরে ৭৫ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমতে পারে, দাবি এসবিআই-এর।
ঋণনীতি পর্যালোচনা করতে নতুন আরবিআই গভর্নর সঞ্জয় মলহোত্রের নেতৃত্বাধীন ঋণনীতি কমিটি আজ বুধবার থেকে তিন দিনের বৈঠকে বসছে। আগামী শুক্রবার সুদের হার নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে। বৈঠক শুরুর আগের দিন অর্থসচিব স্পষ্ট বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার এ বার এমন একটি বাজেট উপহার দিয়েছে, যা রাজকোষ ঘাটতি কমাবে এবং মূল্যবৃদ্ধিকে মদত দেবে না। তাই এ বার রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের কর্তব্য সুদের হার কমনো। আর্থিক নীতি এবং সুদ নীতির এক তালে চলাটাই কাম্য। যা দেশের আর্থিক বৃদ্ধির পক্ষে বিশেষ জরুরি।’’
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, আগের ঋণনীতিতেও সরকারি মহল থেকে সুদ কমানোর চাপ ছিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের উপরে। এ বার তা আরও স্পষ্ট হল। প্রাক্তন গভর্নর শক্তিকান্ত দাস তা অপরিবর্তিত রেখেছিলেন টানা ১১ বার। এ বার সেই পদে বসা প্রাক্তন আমলা সঞ্জয় কী করেন, সেটাই দেখার। সুদ কমলে ঋণের বোঝা কিছুটা কমবে, এই আশায় রয়েছেন বহু মানুষ। লগ্নি বৃদ্ধির আশায় শিল্পও।
স্টেট ব্যাঙ্ক মনে করছে এ বার কমবে সুদ। আর্থিক গবেষণা রিপোর্টে তারা জানিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে মূল্যবৃদ্ধি নামতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই নেমেছে অনেকটা। জানুয়ারি-মার্চে ৪.৫ শতাংশে নামবে বলে আশা। সারা বছরে দাঁড়াবে গড়ে ৪.৮%। পাশাপাশি আগামী অর্থবর্ষে (২০২৫-২৬) মূল্যবৃদ্ধির গড় হার থাকবে ৪.২-৪.৫ শতাংশ।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)