—ফাইল চিত্র।
ঘাড়ে বিপুল আর্থিক বোঝা তো ছিলই। তার উপরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে বকেয়া লাইসেন্স ফি ও স্পেকট্রাম ব্যবহারের চার্জের (এসইউসি) নতুন হিসেব অনুযায়ী কেন্দ্রকে আরও প্রায় ১.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা মেটাতে হবে। এই অবস্থায় বাজেটে কর ও সরকারি লেভিতে কিছু ছাড় মিলবে আশায় ছিল ঋণের ভারে জর্জরিত টেলি শিল্প । কিন্তু শনিবার বাজেটে তার কিছুই না-মেলায় হতাশ তারা।
টেলি শিল্পের সংগঠন সিওএআইয়ের ডিজি রাজন ম্যাথুজ় বলেন, ‘‘আমাদের মূল আর্জিগুলির প্রায় কিছুই বাজেটে বিবেচনা করা হয়নি। এমনকি পরিকাঠামো ক্ষেত্রে অনেক কিছু সংস্কারের কথা বলা হলেও, টেলি পরিষেবাকে পরিকাঠামো শিল্পের আওতায় আনা হল না। এই ক্ষেত্র দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড হলেও উল্লেখযোগ্য সহায়তা পেল না।’’
এর আগে সিওএআই লাইসেন্স ফি ৮% থেকে কমিয়ে ৩% করার আর্জি জানিয়েছিল। এসইউসি এখন গড়ে প্রায় ৫%। তাও একটিই হার, ১% করার দাবি জানিয়েছিল তারা। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে আশা ছিল, সরকার অন্তত কিছুটা রেহাই দেবে এই শিল্পকে। রাজন বলেন, ‘‘কিন্তু কর বা চার্জ কমাতে ঘোষণাই হল না। এটা হতাশাজনক।’’
তবে বাজেটে এক লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতকে ইন্টারনেট পরিষেবায় জোড়ার ‘ভারতনেট’ প্রকল্প ও সে জন্য ৬০০০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। ম্যাথুজের দাবি, এ ধরনের প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আর্থিক ভাবে সবল ও বলিষ্ঠ টেলি শিল্পের প্রয়োজন। তবে ভারতে মোবাইল, বৈদ্যুতিন পণ্য, সেমিকন্ডাক্টর ইত্যাদি তৈরির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সেই সব প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন ম্যাথুজ়।
যদিও সংবাদ সংস্থার খবর, ২০২০-২১ সালে এই শিল্প থেকে প্রচুর বকেয়া লাইসেন্স ফি ও এসইউসি পাওয়ার আশা তাঁরা করছেন না বলে পরে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy