—ফাইল চিত্র।
অর্থনীতির আঙিনায় জায়গা পেল ‘থালি’। আমিষ, নিরামিষ— দু’রকমই।
দেশের মানুষ খাবারের জন্য কত খরচ করেন, সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরতে গিয়ে শুক্রবার আর্থিক সমীক্ষায় থালির জন্যই আলাদা অধ্যায় বরাদ্দ করলেন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যন। জানালেন, গত প্রায় দেড় দশকে যদি একই হারে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ত, তা হলে এখন যত দামে নিরামিষ থালি কেনা যেত, সেই তুলনায় ২০১৯-২০ সালে ২৯% কম দামে কিনতে পারছেন আমজনতা। আমিষ থালিতে তা ১৮%। ফলে ২০১৫-১৬ থেকে এখনও পর্যন্ত শিল্প ক্ষেত্রে কাজ করা শ্রমিকের পাঁচ সদস্যের পরিবার নিরামিষ থালিতে বাঁচাতে পেরেছে বছরে গড়ে ১০,৮৮৭ টাকা। আমিষ থালির ক্ষেত্রে বেঁচেছে ১১,৭৮৭ টাকা। যা তারা অন্যান্য খাতে খরচ বা সঞ্চয় করতে পেরেছে। উল্লেখ্য, নিরামিষ থালিতে ধরা হয়েছে ভাত বা রুটি, ডাল ও তরকারি। আর আমিষ থালিতে ডালের জায়গা নিয়েছে ডিম, মাছ বা পাঁঠার মাংস।
এই তত্ত্ব শোনার পরেই কংগ্রেস নেতা রাজীব গৌড়ার তোপ, বাস্তবের সঙ্গে মোদী সরকারের যোগ নেই। যখন বাজারে কেনাকাটা কমেছে ও মূল্যবৃদ্ধি ৬ বছরের সর্বাধিক, তখন এই থালিনমিক্স মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা। তাঁর কথায়, ‘‘মানুষের ব্যয় নিয়ে করা এনএসএসের সমীক্ষাই বলেছে যে, খাবারের কেনাকাটা কমেছে। বাড়ছে দারিদ্র ও অপুষ্টির ভয়। ‘থালি’ ক্রমশই ছোট হচ্ছে।’’ টুইটে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সূরজেওয়ালাও।
সমীক্ষায় দাবি
• ২০০৬-০৭ সাল থেকে যদি খাবারের দাম একই হারে বাড়ত, তা হলে নিরামিষ থালিতে যত খরচ হত ২০১৯-২০ সালে (এপ্রিল-অক্টোবর) তা কমেছে ২৯%।
• একই সময়ে আমিষ থালির ক্ষেত্রে তা ১৮%।
• ২০০৬-০৭ সালে যেখানে এক জনের দৈনিক আয়ের ৭০% যেত দু’বেলার নিরামিষ থালি কিনতে, সেখানে ২০১৯-২০ সালে তা ৫০%।
• আমিষের ক্ষেত্রে তা একই সময়ে ৯৩% থেকে নেমেছে ৭৯ শতাংশে।
• ২০১৫-১৬ সাল থেকে নিট হিসেবে নিরামিষ থালির দাম কমেছে। তবে ডাল ও
আনাজের দাম বাড়ায় তা বেড়েছে গত বছরে।
• ওই বছরের পর থেকে শিল্প ক্ষেত্রে কাজ করা শ্রমিকের পাঁচ সদস্যের পরিবার নিরামিষ থালিতে বাঁচাতে পেরেছে বছরে গড়ে ১০,৮৮৭ টাকা।
• একই সময়ে আমিষ থালির ক্ষেত্রে বেঁচেছে ১১,৭৮৭ টাকা।
সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের প্রশ্ন, আর্থিক সমীক্ষাতেই খাদ্যে ভর্তুকি কমানোর কথা বলেছে মোদী সরকার। আমজনতার থালির খরচ কমার কথা বলে আসলে কি তারই জমি তৈরি করতে চাইলেন সুব্রহ্মণ্যন?
অন্য অংশের মন্তব্য, থালির খরচ কমার অর্থ খাবারের দাম কমা। কিন্তু গত প্রায় দেড়-দু’বছরে ফসলের ন্যায্য দাম না-পাওয়ায় দেশ জুড়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কৃষকেরা। আত্মহত্যা করেছেন অনেকে। চাষিদের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতিও পালনের পথে হাঁটা যায়নি। সুব্রহ্মণ্যনের যদিও জবাব, কৃষকদের অবস্থাও দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy