পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র আজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি পাঠিয়ে দাবি তুলেছেন।
করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে হচ্ছে। রাজ্যের মানুষের জন্য টিকা কিনতে হচ্ছে। তার সঙ্গে ইয়াস-এ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ-পুনর্বাসনের বন্দোবস্ত করতে হচ্ছে। এ দিকে অর্থ মন্ত্রক শর্ত বেঁধে দিয়েছে, পরিকাঠামোয় খরচ দ্বিগুণ করতে পারলেই রাজ্য বাড়তি ঋণ নিতে পারবে। মোদী সরকারের এই শর্ত আরোপের ফলে ‘হতভম্ব’ পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র আজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি পাঠিয়ে দাবি তুলেছেন, রাজ্যগুলিকে বিনা শর্তে রাজ্যের জিডিপি-র ৫% পর্যন্ত ঋণ নিতে দেওয়া হোক।
সাধারণত রাজ্যের জিডিপি-র ৩% পর্যন্ত ঋণে সায় দেওয়া হয়। গত অর্থবর্ষে লকডাউনে কেন্দ্রের মতো রাজ্যের আয় কমায় ৫% পর্যন্ত ঋণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ৪% ছিল বিনা শর্তে। এ বার রাজ্যকে ৪% ঋণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ০.৫% ঋণ মিলবে মূলধনী খাতে বা পরিকাঠামোয় বাড়তি খরচ করলে। সেই শর্ত মানতে পশ্চিমবঙ্গকে ২০১৯-২০-র তুলনায় চলতি বছরে ১০০% বেশি খরচ করতে হবে।
রাজ্যের প্রশ্ন, টাকা আসবে কোথা থেকে? অমিতবাবু মনে করিয়েছেন, গত বছর কোভিডের সঙ্গে রাজ্যকে আমপানের ধাক্কা সামলাতে হয়েছে। তিনি লিখেছেন, “২০২০-২১ সালে যেখানে সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যেরও রাজস্ব আয় কমেছে। পশ্চিমবঙ্গকে জোড়া ধাক্কা সামলাতে হয়েছে। আমি হতভম্ব যে, তার পরেও আশা করা হচ্ছে, মূলধনী খাতে খরচ ২০১৯-২০ সালের ১৫,৯৭০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে আমরা ৩৪ হাজার কোটিতে নিয়ে যাব!” তাঁর যুক্তি, এ বছর ইয়াস-এর ত্রাণ, টিকাকরণে ব্যয় করতে গিয়ে পরিকাঠামো খরচে টান পড়বে। তাই চলতি বছরে বিনা শর্তে ৫% ঋণের অনুমতি চেয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি অমিতবাবুর দাবি, ২০২০-২১ সালে জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্যের ৪,৯১১ কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে পাওনা। কোষাগারের করুণ অবস্থা বুঝে তা দ্রুত মেটানো হোক। নির্দিষ্ট অঙ্ক জিএসটি আদায় না-বাড়লে রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা কেন্দ্রের। সেই ব্যবস্থা ২০২২ সালের জুলাইয়ে শেষ হবে। অধিকাংশ রাজ্য মেয়াদ বাড়ানোর দাবি তুলেছে। অমিতবাবু জানান, আরও পাঁচ বছরের জন্য তা চালু থাকুক। গত সপ্তাহে জিএসটি পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে করোনা যোঝার উপকরণে কর স্থির করা নিয়ে মন্ত্রিগোষ্ঠী তৈরি হলেও তাতে বিরোধী রাজ্যের অর্থমন্ত্রীকে রাখা হয়নি। তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy