প্রতীকী ছবি।
দেশের টেলিকম ক্ষেত্রের আর্থিক সঙ্কট নিয়ে দু’ভাগ শিল্প মহলই।
ভারতী এয়ারটেল ও ভোডাফোন আইডিয়ার মতো সংস্থা এবং এই শিল্পের সংগঠন সিওএআইয়ের দাবি, অভূতপূর্ব সঙ্কটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে অবিলম্বে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে তারা। যদিও সিওএআইয়েরই অন্য সদস্য জিয়ো-র পাল্টা দাবি, পরিস্থিতি আদৌ তা নয়। সিওএআই-কে পুরনো দুই সংস্থার মুখপত্র হিসেবে দুষে বরং জিয়ো-র কড়া প্রতিক্রিয়া, সরকারকে ‘কল্পিত’ সঙ্কটের ভয় দেখিয়ে ‘ব্ল্যাকমেল’ করছে তারা। তবে টেলি শিল্পের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে দরকারে পাশে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েই মঙ্গলবার ক্যাবিনেট সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গড়েছে কেন্দ্র।
সাম্প্রতিককালে নানা বিষয়ে বারকয়েক বিতর্কে জড়িয়েছে জিয়ো ও পুরনো সংস্থাগুলি। টেলিকম দফতরের হিসেব মেনে লাইসেন্স ও স্পেকট্রামের ফি বাবদ বকেয়া প্রায় ৯২ হাজার কোটি টাকা মেটাতে সংস্থাগুলিকে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া নির্দেশকে ঘিরে ফের বিতর্ক বেধেছে শিল্প মহলে। এতে আর্থিক সঙ্কট বৃদ্ধির দাবি করে ত্রাণ প্রকল্পের জন্য পুরনো সংস্থাগুলির পাশাপাশি সিওএআই-ও কেন্দ্রকে আর্জি জানিয়েছে।
কেন্দ্রকে দেওয়া চিঠিতে সিওএআইয়ের ডিজি-র রাজন ম্যাথুজ়ের দাবি, ত্রাণ না-পেলে ভোডাফোন আইডিয়া ও এয়ারটেল, যারা সম্মিলিতভাবে ৬৩% গ্রাহককে পরিষেবা দেয়, সঙ্কটের মুখে পড়বে। লগ্নি ব্যাহত হবে। লগ্নিকারীরা আস্থা হারাবেন। বহু চাকরিও যেতে পারে। কারও নাম না-করে সিওএআইয়ের আশঙ্কা, এর মধ্যে সব চেয়ে খারাপ হতে পারে একচেটিয়া কারবার তৈরির সম্ভাবনা। আর এয়ারটেলের আশা, সব দিক বিচার করে আয়ের হিসেব নিয়েই পদক্ষেপ করবে কেন্দ্র।
সিওএআইয়ের চিঠির কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ম্যাথুজ়কে পাঠানো চিঠিতে জিয়োর দাবি, আদৌ কোনও সঙ্কট নেই। পুরনো সংস্থাগুলিই যথেষ্ট লগ্নি না করে সঙ্কটের ধুয়ো তুলে ‘কুমিরের কান্না’ কাঁদছে। তাদের সংস্থা পরিচালনার ব্যর্থতার দায় নিয়ে কেন কেন্দ্র ত্রাণ প্রকল্প দেবে, প্রশ্ন জিয়োর। ওই দুই সংস্থা ত্রাণ না পেলে প্রতিযোগিতা খর্ব ও কেন্দ্রের ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কর্মসূচি ব্যাহত হওয়ার শঙ্কাও ঠিক নয় বলে দাবি জিয়োর। কেন্দ্রের গড়া কমিটি নিয়ে অবশ্য তারা মন্তব্য করেনি। যদিও সুপ্রিম কোর্টের রায় না মানলে তা আদালত অবমাননারই সামিল বলে ইঙ্গিত দিয়ে জিয়োর দাবি, অন্য সংস্থাগুলির দায় মেটানোর আর্থিক সঙ্গতি রয়েছে। তাদের অভিযোগ, জিয়োর অপেক্ষা না করেই পুরনো দুই সংস্থার বক্তব্য নিয়ে এক পক্ষের মত জানিয়েছে সিওএআই। যা প্রমাণ করে তারা শিল্পের সগঠন নয়, দুই সংস্থার মুখপত্র। ম্যাথুজ় শুধু বলেছেন, এটি সংগঠনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সেই স্তরেই তাঁরা কথা বলবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy