প্রতীকী ছবি
দেশের আর্থিক লেনদেনের মূল সংস্থা ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশনের (এনপিসিআই) পরিকাঠামোর সুরক্ষা ব্যবস্থায় গত বছর ৪০টিরও বেশি ফাঁক ধরা পড়েছিল। সে কথা উল্লেখ করে সরকারি অডিটে জানানো হয়েছে, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এনপিসিআই অবশ্য জানিয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থেই তারা নিয়মিত অডিট করায়। উচ্চপর্যায়ে তা খতিয়ে দেখা হয়। ওই অডিটেরও সন্তোষজনক সুরাহা করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির ওই অডিট উল্লেখ করে তথ্য সুরক্ষায় ঝুঁকির কথা জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৬ সংখ্যার কার্ড নম্বর ও গ্রাহকের অন্যান্য ব্যক্তিগত বেশ কিছু তথ্য সাঙ্কেতিক ভাষার বদলে তথ্য ভাণ্ডারে সাধারণ ভাবে রাখা ছিল। ফলে সেখানে সাইবার হানা হলে সেই তথ্যের কোনও সুরক্ষা ছিল না। সেই তথ্য হাতানোর কোনও ঘটনার কথা অবশ্য জানানো হয়নি।
ভারতের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি কোঅর্ডিনেটর রাজেশ পন্থের দফতর ওই অডিট করেছিল। সাইবার হানা রুখতে এনপিসিআইয়ের রক্ষাকবচ কী, সেই সংক্রান্ত ধারণা প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদকে দিতেই অডিট করানো হয়। রাজেশ জানান, তাঁদের পর্যবেক্ষণগুলির সুরাহা করা হয়েছে বলে এনপিসিআই আশ্বস্ত করেছে।
২০১৭ সালের জুলাইয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্টেও এনপিসিআইয়ের অভ্যন্তরীণ অডিট প্রক্রিয়ায় ত্রুটি, সংস্থা পরিচালনায় ঝুঁকির কথা বলা হয়েছিল। গত বছরের অডিটে সংস্থাটিতে সঠিক পরিচালনার উপরে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়। শীর্ষ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট নিয়ে আলাদা করে কোনও উত্তর না-দিলেও এনপিসিআই জানিয়েছে, তারা রয়টার্সের তোলা সব বিষয়েরই সুরাহা করেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy