চিন থেকে আমদানি করা খেলনার মানে নজরদারি বাড়িয়েছে কেন্দ্র। খেলনায় বাড়ানো হয়েছে আমদানি শুল্কও। সূত্রের খবর, এ বার বাজেটে এই ক্ষেত্রের জন্য আলাদা নীতি আনার কথাও ঘোষণা করতে পারেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যার লক্ষ্য, দেশীয় খেলনা শিল্পকে স্বনির্ভর করে তোলা।
দেশে খেলনার বাজার প্রায় ১৩,০০০ কোটি টাকার। কিন্তু এর মধ্যে ৮৫ শতাংশই আমদানি হয় চিন, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, জার্মানি, হংকং এবং আমেরিকা থেকে। গত বছর লাদাখে ভারত-চিন সীমান্ত সংঘর্ষের পরে চিনা খেলনার আমদানি নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করে কেন্দ্র। বাণিজ্য মন্ত্রক জানায়, নিম্ন মানের পণ্যে রাশ টানাই এর লক্ষ্য। সংশ্লিষ্ট মহলের মত ছিল, শুল্ক বাড়ায় আমদানিতে ধাক্কা লাগবে ঠিকই। কিন্তু এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে দেশে খেলনার উৎপাদন এবং কর্মসংস্থান বাড়ানো সম্ভব। বিশেষত এই ক্ষেত্রের সঙ্গে যেখানে প্রায় ৪০০০ ছোট-মাঝারি সংস্থা এবং তাদের কর্মীরা জড়িয়ে।
সূত্রের খবর, বাজেটে সে কথা মাথায় রেখেই নতুন নীতি আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। জোর দেওয়া হতে পারে খেলনার নকশা সংক্রান্ত গবেষণা ও উন্নয়নেও। যাতে নতুন উদ্যোগ (স্টার্ট-আপ) সংস্থাগুলি এগিয়ে আসতে আগ্রহ দেখায়।
এ ছাড়া বর্তমানে বিশ্বের খেলনার চাহিদার মাত্র ০.৫% রফতানি করে ভারত। যার অঙ্ক ১০ কোটি ডলার (প্রায় ৭৪০ কোটি টাকা)। কেন্দ্রের লক্ষ্য, তা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়িয়ে ভারতকে বিশ্বের খেলনা হাবে পরিণত করা। তাই রফতানি বাড়াতেও নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy