প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
বস্তার বরাতের অভাবে চটকলগুলিতে ৫৫% উৎপাদন ক্ষমতা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে। প্রায় ৫৫ হাজার চটকল কর্মীকে নিয়মিত কাজ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না পাটচাষিরাও— এমনই অভিযোগ চটকল মালিকদের। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চাইল তৃণমূল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন দলের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। পাশাপাশি, অল বেঙ্গল তৃণমূল জুট অ্যান্ড টেক্সটাইল ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন জুট কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে। জানিয়েছে সমস্যা সমাধানের আবেদন। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের পাট শিল্প সংক্রান্ত পরামর্শদাতা কমিটির সঙ্গে বৈঠকে সমস্যা ব্যাখ্যা করেছে চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ।
পাট শিল্প আইন অনুযায়ী, গণবণ্টন ব্যবস্থায় খাদ্যশস্য রাখার জন্য ১০০% চটের বস্তার ব্যবহার বাধ্যতামূলক। চিনির ক্ষেত্রে ২০% চটের বস্তা ব্যবহার করার কথা উৎপাদনকারীদের। এই কারণে প্রত্যেক বছর চটকলগুলির কাছে বস্তা কেনে কেন্দ্র। চটকল মালিকদের বক্তব্য, এ বছরেও ৩৬ লক্ষ বেল (১ বেল মানে ৫০০ বস্তা) বস্তা কেনা হবে বলে কেন্দ্র জানিয়েছিল। কিন্তু ক্রমশ সেই বরাত ছাঁটা হচ্ছে। তাঁদের আশঙ্কা, কেন্দ্র শেষ পর্যন্ত ৩০ লক্ষ বেলের বেশি বস্তা কিনবে না। এর জন্য চটকলগুলিতে ইতিমধ্যেই কাজের শিফট কমানো হয়েছে। সার্বিক ভাবে সমস্যায় পাট শিল্পের ৩.৫ লক্ষ কর্মী।
পাট শিল্পের অভিযোগ, বস্তার বরাত কমায় বাজারে পাটের দাম পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় চার কোটি চাষি। সুখেন্দু প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে লিখেছেন, পাটের দাম ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নীচে নেমেছে। কুইন্টাল প্রতি ৫৩০০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৫০০০। বস্তার বরাত বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy