—প্রতীকী চিত্র।
কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডের (ইপিএফ) পেনশন প্রকল্পে (ইপিএস-৯৫) ন্যূনতম মাসিক পেনশন ৭৫০০ টাকা করার দাবিতে আজ, বৃহস্পতিবার দেশ জুড়ে অনশন কর্মসূচি পালন করবে পেনশনভোগী গ্রাহকদের সংগঠন ইপিএস-৯৫ ন্যাশনাল অ্যাজিটেশন কমিটি। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ওই পেনশন বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছিল। বিরোধী দল, শ্রমিক সংগঠন এবং গ্রাহকদের বার বার দাবি সত্ত্বেও তার পর থেকে ওই অঙ্ক আর বাড়েনি।
পিএফের পেনশন নির্ভরদের বক্তব্য, মাসে একটি রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার কিনতেই হাজার টাকার বেশি লাগে। চড়া দামের আনাজে হাত ছোঁয়ানো দায়। ন্যূনতম ১০০০ টাকা পেনশনের অর্থ কী! চিকিৎসার খরচই বা চলবে কী ভাবে!
এই প্রেক্ষিতেই বুধবার বিবৃতিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, দেশের উন্নয়নে এক সময়ে বড় ভূমিকা ছিল আজকের পেনশন গ্রাহকদের। কিন্তু আয় এই জায়গায় নামায় তাঁরা শুধু বিপর্যস্তই নন, পরিবার এবং সমাজে সম্মানও হারাচ্ছেন। প্রতিবাদে তাদের জাতীয় সভাপতি কম্যান্ডার অশোক রাউত এবং কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্যেরা বৃহস্পতিবার দিল্লির যন্তর মন্তরে অনশনে বসবেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় একই কর্মসূচি পালন করবেন পেনশন গ্রাহকেরা। সংগঠনের নেতৃত্বের বক্তব্য, মানুষের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে সরকার বিভিন্ন পেনশন প্রকল্প এনেছে। কিন্তু পিএফের সদস্যেরা পড়ে সেই তিমিরে।
পিএফের অছি পরিষদের সদস্য এআইইউটিইউসির দিলীপ ভট্টাচার্য জানান, ২০১৯-এ শ্রমমন্ত্রী ন্যূনতম পেনশন ২০০০ টাকা করার প্রস্তাব দিলেও কর্মী সংগঠনের প্রতিনিধিরা তা আরও বৃদ্ধির দাবি তোলেন। কিন্তু অর্থ মন্ত্রক মানেনি। ইউটিইউসির সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষের অভিযোগ, এখন অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদেরই পেনশন ৩০০০ টাকা। গ্রাহকের মৃত্যুর পরে পরিবার তার অর্ধেক পায়। ফলে সংগঠিত ক্ষেত্রের ন্যূনতম পেনশন ১০০০ টাকা হওয়ার যুক্তি নেই। কারণ, পিএফের গ্রাহকেরা আয়ের বড় অংশ প্রকল্পে রাখেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy