বড় শিল্পে যত কাজের সুযোগ তৈরি হয়, তার থেকে ঢের বেশি চাকরি দেয় ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্প। বিশেষজ্ঞরা তো বলেনই, আগে এ কথা মেনেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। আর তা মাথায় রেখেই বাজেটে ওই শিল্পকে চাঙ্গা করার দাওয়াই খুঁজছে কেন্দ্র। ভাবছে করের বোঝা কমানো আর ঋণের খরচ কমাতে সুদে ভর্তুকির পরিধি বাড়ানোর কথা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, লোকসভা ভোটে বিপুল জয় এলেও, পর্যাপ্ত কাজের সুযোগ তৈরি না হওয়া যে গলার কাঁটা, তা বিলক্ষণ বুঝছে মোদী সরকার। সেই কারণেই বাজেট-চর্চায় বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে ছোট-মাঝারি শিল্প। কারণ, ওই ক্ষেত্রকে চাঙ্গা করতে পারলে এক দিকে যেমন কাজের সুযোগ তৈরি হবে, তেমনই কিছুটা প্রলেপ দেওয়া সম্ভব হবে নোট বাতিল এবং তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর দরুন তাদের গায়ে তৈরি হওয়া ক্ষতে।
অর্থ মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, ‘‘ভোটের আগে অন্তর্বর্তী বাজেটে ছোট-মাঝারি শিল্পের জন্য তেমন কিছু ছিল না। বাজেটে ঘোষিত ৫৯ মিনিটের মধ্যে ১ কোটি টাকার ঋণে প্রাথমিক মঞ্জুরি কিংবা ১ কোটি টাকা পর্যন্ত নতুন ঋণে ২% সুদ ছাড়ের কথা আগেই হয়ে গিয়েছিল।’’ নির্মলা সীতারামনের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেটে তাই ভাবনা এই শিল্পকে চাঙ্গা করার।
আলোচনায়
• ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্পের কোন কোন সমস্যা মেটানো যায় বাজেটে?
• ঋণের খরচ কমাতে সুদে ভর্তুকির পরিসর আরও প্রসারিত করা যায় কি না।
• করের বোঝা কমানো হলে কি কিছুটা চাঙ্গা হবে ছোট-মাঝারি শিল্প?
• সমস্যার সমাধান হলে, বাড়বে ওই শিল্পের তৈরি পণ্যের রফতানি। অনেক বেশি কাজের সুযোগও তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা।
• অভিযোগ, নোটবন্দি আর তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর জোড়া ধাক্কায় ভুগতে হয়েছে ছোট-মাঝারি শিল্পকে। বাজেটে সেই ক্ষতে প্রলেপ দেওয়া যায় কী ভাবে?
বেশি জোর
• পর্যটন • বস্ত্র • চামড়া
• অলঙ্কার • বিভিন্ন হস্তশিল্প
সরকারি সূত্রের খবর, ৫ জুলাইয়ের বাজেটে রফতানি ও কর্মসংস্থান বাড়াতে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য এক গুচ্ছ ঘোষণা হতে পারে। বস্ত্র, পর্যটনের মতো যে সমস্ত শিল্পে কেন্দ্র বিশেষ নজর দিতে চায়, তাতে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত নতুন ঋণের সুদে ২% ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। চালু শিল্পের সম্প্রসারণেও একই সুবিধা মিলছে। এ বার বাজেটে সেই ভর্তুকির পরিধি আরও বাড়ানো হতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলার গুরুত্ব, লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর
কর্পোরেট করের হার কমানোরও দাবি তুলেছে ছোট-মাঝারি শিল্প। যে সব সংস্থার ব্যবসা বছরে ২৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত, তাদের করের হার ২৫%। অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের যুক্তি, বছরে ৭৫ কোটি থেকে ২৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যবসাকে মাঝারি শিল্প ধরা হয়। ৫ থেকে ৭৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যবসা হলে ছোট শিল্প, তার কমে ক্ষুদ্র শিল্প। ফলে ছোট-মাঝারি শিল্পের জন্য করের হার এমনিতেই কম। তবে করে আর কোনও সুরাহা দেওয়া যায় কি না, সেই ভাবনাচিন্তাও চলছে। ছোট-মাঝারি শিল্পের সংগঠন ফিসমে-র দাবি, জিএসটি চালু হওয়ায় আগে যে সব উৎসাহ ভাতা মিলত, তা উধাও। ফলে কেন্দ্র পাশে না দাঁড়ালে, বিশ্ব বাজারের প্রতিযোগিতায় এঁটে ওঠা অসম্ভব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy