বাড়ি-ফ্ল্যাটের নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যোগসাজশে ক্রেতাদের হেনস্থার অভিযোগ উঠল। আদালত বান্ধবের (অ্যামিকাস কিউরি) আবেদনের ভিত্তিতে সিবিআই-কে এ ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যে সব অঞ্চলে ফ্ল্যাটগুলি তৈরি হয়েছে, তার মধ্যে কলকাতাও রয়েছে। বাকি জায়গাগুলি হল দিল্লি ও সংলগ্ন অঞ্চল, মুম্বই, চণ্ডীগড় এবং মোহালি। পুরো তদন্তই হবে শীর্ষ আদালতের তত্ত্বাবধানে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটিকে বাহিনী দিয়ে সাহায্য করার জন্য উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানা পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট দ্রুত জমা দিতে বলা হয়েছে সিবিআই-কে।
আদালত বান্ধবের আবেদনে দাবি করা হয়েছে, ফ্ল্যাটের ক্রেতাদের সঙ্গে নির্মাণকারী সংস্থা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (ব্যাঙ্ক কিংবা ঋণদাতা সংস্থা) ত্রিপাক্ষিক চুক্তির ভিত্তিতে গৃহ ঋণ মঞ্জুর হয়। সেই অনুযায়ী, ফ্ল্যাট হাতে পাওয়ার আগে থেকেই ব্যাঙ্ককে ঋণের কিস্তি (ইএমআই) মেটাতে থাকে নির্মাণকারী সংস্থা। অভিযোগ, বেশ কিছু ক্ষেত্রে নির্মাণকারী ইএমআই বকেয়া রেখে দেয়। যা আদায়ের জন্য সংশ্লিষ্ট ক্রেতাকে চাপ দিতে থাকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি। অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের হেনস্থাও করা হয়। আদালত বান্ধবের এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই মামলাটি গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং এন কোটিশ্বর সিংহের বেঞ্চ সিবিআই-কে সাতটি প্রাথমিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। গঠন করতে বলেছে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)।
আদালত বান্ধবের রিপোর্ট অনুযায়ী, অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে নির্মাণকারী সংস্থা সুপারটেক। যারা দেশের ছ’টি শহরে ২১টি আবাসন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ঋণ নিয়েছে ব্যাঙ্ক-সহ ১৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের থেকে। আরও তিনটি প্রোমোটার সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য শীর্ষ আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছে আদালত বান্ধব। এর মধ্যে সুপারটেক এবং ব্যাঙ্কের মধ্যে ‘অশুভ যোগসাজসের’ অভিযোগ নিয়ে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তদন্ত করতে অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)