—প্রতীকী চিত্র।
বিশ্ব বাজারে বেশ খানিকটা সস্তা হল অশোধিত তেল। গত ফেব্রুয়ারির পরে এই প্রথম ব্রেন্ট ক্রুডের ব্যারেল পিছু দাম নামল ৮০ ডলারের নীচে। ডব্লিউটিআই নেমে এল ৭০ ডলারের কাছাকাছি। ফলে ফের পেট্রল-ডিজ়েলের দাম কমানোর দাবি উঠেছে দেশে। লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের দিনেই নতুন সরকারের উদ্দেশে বিশেষজ্ঞদের বার্তা, নির্বাচন শুরুর মুখে তেলের দাম লিটারে ২ টাকা কমলেও লাভ হয়নি। সাধারণ গৃহস্থের হেঁশেলের জন্য রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের মতো পরিবহণ জ্বালানিও যথেষ্ট চড়া। তাই আন্তর্জাতিক দাম আবার বেড়ে যাওয়ার আগে কম খরচে অশোধিত তেল আমদানির সুবিধা দ্রুত সাধারণ মানুষের ঘরে পৌঁছে দিক রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি।
কলকাতার বাজারে এখন পেট্রল লিটার পিছু ১০৩.৯৪ টাকা। ডিজ়েল ৯০.৭৬ টাকা। বাড়িতে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দামও ৮২৯ টাকা। অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার বলেন, ‘‘বিশ্ব বাজারে জ্বালানির দাম কমলে ভারতবাসীর সেই সুবিধা পাওয়ার কথা। কারণ, তাতে আমদানির খরচ কমে। অশোধিত তেল যেখানে নেমেছে, তাতে দেশেও অবিলম্বে পেট্রল-ডিজ়েলের দাম কমানো দরকার। মূল্যবৃদ্ধিকে আরও নামিয়ে আনার এটা বড় সুযোগ।’’ তাঁর দাবি, মূল্যবৃদ্ধিই লগ্নির পথে সবচেয়ে বড় বাধা। ফলে তাকে আরও নামাতে পারলে সুদও কমবে। শিল্পে লগ্নির ক্ষেত্রে আসবে গতি।
সংশ্লিষ্ট মহলের অবশ্য বরাবরের অভিযোগ, অশোধিত তেলের দাম বাড়লে দেশের পেট্রল-ডিজ়েলে চট করে তার প্রতিফলন দেখা যায়। অথচ উল্টোটা হলে আমজনতাকে সুরাহা দেওয়ার তাগিদ চোখে পড়ে না। শুধু ভোটের মরসুম হলে দাম কমার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু ভোট পর্ব সবেমাত্র শেষ হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই, দাবি একাংশের। এই অবস্থায় নতুন সরকার দেশবাসীকে জ্বালানির খরচে কোনও সুবিধা দেয় কি না, সেটাই এখন দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy