প্রতীকী ছবি।
চিনা পণ্য আমদানিতে চটজলদি দেওয়াল তুললে, জোগান-শৃঙ্খল ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছে শিল্প মহলের একাংশ। কাঁচামালে টান পড়লে, বাজার হারানোর ভয় পাচ্ছেন রফতানিকারীরা। সেই আশঙ্কা কেন্দ্রের কানে তুলে দেওয়ারও চেষ্টা করছেন তাঁরা। কিন্তু তার পরেও পড়শি মুলুকের পণ্যের বিরুদ্ধে ‘জেহাদ’ জোরালো করছে সরকারের একাংশ! করোনা-সঙ্কট কাটিয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার পথে তা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
বৃহস্পতিবার রফতানিকারী সংস্থাগুলির সংগঠন ফিয়োর প্রেসিডেন্ট শরদ কুমার সরাফের বক্তব্য, “চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে সরকার যে অর্থনীতিকে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করছে, সেই উদ্যোগে আমরা পাশে। কিন্তু মাথায় রাখা দরকার, বহু জরুরি কাঁচামালের বিষয়ে এ দেশের শিল্প চিনের উপরে নির্ভরশীল।” অর্থাৎ, রাতারাতি তা আসা বন্ধ হলে, শিল্প এবং রফতানি মার খেতে পারে বলে ইঙ্গিত। সূত্রের খবর, বৈদ্যুতিন পণ্যের চিনা যন্ত্রাংশের বিষয়ে কড়াকড়ির কারণে অসুবিধায় পড়ার কথা ইতিমধ্যে অর্থ মন্ত্রকে জানিয়েওছে সংশ্লিষ্ট শিল্প।
কিন্তু এ দিনই আবার বিদ্যুৎমন্ত্রী আর কে সিংহ জানিয়েছেন, সৌর মডিউল, সৌর সেলে চড়া আমদানি শুল্ক বসতে চলেছে। মডিউলে প্রথম বছর ২৫%, দ্বিতীয় বছরে ৪০%। আর সেলে যথাক্রমে ১৫% ও ৩০%। এ ছাড়া, সাইবার আক্রমণ রুখতে বিভিন্ন যন্ত্র আমদানির আগে অনুমতি নিতে হবে। নিশানা চিনই। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, শিল্পের স্বার্থে কাঁচামাল আমদানিতে সমস্যা নেই। কিন্তু গণেশের মূর্তিও কেন চিন থেকে আমদানি করতে হবে? এ দিন আবার হোটেলের দরজা চিনাদের জন্য বন্ধ রাখার ডাক দিয়েছে দিল্লির হোটেল ও রেস্তরাঁ মালিকদের সংগঠন!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy