প্রতীকী ছবি।
প্রথম দফার মতো দ্বিতীয় দফাতেও আবাসন ক্ষেত্রকে ভাল রকম ধাক্কা দিয়েছে অতিমারি। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সরকারের কাছে একাধিকবার ত্রাণ প্রকল্পের আর্জি জানিয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে আবাসন শিল্পের সংগঠন ক্রেডাই অভিযোগ জানাল, গত কয়েক সপ্তাহে ইস্পাত-সিমেন্টের মতো কাঁচামালের দাম প্রায় ৪০%-৫০% বেড়েছে। ফলে মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বাড়ির দাম বৃদ্ধি অবশ্যম্ভাবী। ওই দুই কাঁচামালের দাম নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ চেয়ে কেন্দ্রীয় আবাসনমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীকে চিঠি লিখেছে তারা। সরকারের কাছে আবাসন শিল্পের আর্জি, কঠিন এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে ঋণ পুনর্গঠন এবং ঋণের কিস্তি স্থগিতের সুবিধা দেওয়া হোক তাদের।
গত বছর অতিমারি প্রথমবার দেশের উপরে আছড়ে পড়ার সময়েও মুখ থুবড়ে পড়েছিল আবাসনের চাহিদা। কমেছিল কাজের গতি। সেই সময়ে মহারাষ্ট্র-সহ কয়েকটি রাজ্য রেজিস্ট্রেশন খরচে ছাড় দেয়। এ বছরের গোড়ায় আবাসনের চাহিদার পালে কিছুটা হওয়া ফেরে। যদিও সেই সময়ে মজুত প্রকল্পগুলিই বেশি বিক্রি হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের। এই অবস্থায় নতুন করে তাদের ধাক্কা দিয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। ২১৭টি শহরের ৪৮১৩টি ডেভেলপারের মধ্যে চালানো সমীক্ষার রিপোর্ট তুলে ধরে ক্রেডাইয়ের দাবি, এ বারের ঢেউ আরও মারাত্মক। চাহিদা কমা তো রয়েছেই। সেই সঙ্গে যুঝতে হচ্ছে কম শ্রমিক, নগদের সমস্যা, প্রকল্পের অনুমোদনে দেরি এবং কাঁচামালের মাথা তোলা খরচের সঙ্গেও।
ক্রেডাইয়ের প্রেসিডেন্ট হর্ষবর্ধন পাটোডিয়া বলেন, ‘‘করোনার প্রথম ধাক্কার পরে কার্যত কোনও সাহায্য ছাড়াই আবাসন শিল্প ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু ফের অবস্থা অবনতি হয়েছে। এই অবস্থায় গোটা পরিস্থিতি নতুন করে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।’’ সংগঠনের আর এক কর্তা বোমান ইরানি জানান, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির জন্য খরচ প্রায় ১৫% বেড়েছে। ফলে নতুন প্রকল্পগুলির দাম বাড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy