সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, দু’দিন থমকে থাকার পরে আজ ফের জ্বালানির দর বাড়িয়েছে তেল সংস্থাগুলি। প্রতীকী চিত্র
তেলের চড়া দরে কিছুটা হলেও লাগাম পরাতে পেট্রল ও ডিজেলে রাজ্যের করের ভাগ কমানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। জানিয়েছিলেন, সীমিত ক্ষমতার মধ্যে লিটার পিছু ১ টাকা করে কমানো হচ্ছে ওই দুই পেট্রোপণ্যের দাম। যা আজ, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু ক্রেতারা সেই দাম কমার সুযোগ পুরোপুরি পাচ্ছেন না। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, দু’দিন থমকে থাকার পরে আজ ফের জ্বালানির দর বাড়িয়েছে তেল সংস্থাগুলি। ফলে সব মিলিয়ে দাম কমল ১ টাকার তুলনায় কিছুটা কম।
আজ কলকাতায় ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে লিটার পিছু পেট্রল মোটের উপরে ৬৬ পয়সা কমে দাঁড়াল ৯১.১২ টাকা। ৩৬ পয়সা কমে ডিজেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৮৪.২০ টাকা। অর্থাৎ, ডিজেলের দর এ দিনে অনেকটাই বাড়াল তেল সংস্থাগুলি। অথচ, আগের দু’দিনের মতো দর এক থাকলে ক্রেতারাও ১ টাকা কমে জ্বালানি কেনার সুবিধা পেতেন।
তবে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ বলছেন, তেলের দাম বাড়লে যুক্তমূল্য করের (ভ্যাট) হার এক রেখেও লিটার প্রতি কর বাবদ বেশি আয় করে রাজ্য। যেমন, গত বছরের ১৬ মার্চ শহরে প্রতি লিটার পেট্রলের দাম ছিল ৭২.২৯ টাকা। ভ্যাট বাবদ লিটার পিছু রাজ্যের আয় তখন ছিল ১৩.৮০ টাকা। আর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পেট্রলের দাম ৯১.৪১ টাকা থাকার সময়ে লিটারে ১৮.৪০ টাকা আয় করেছে রাজ্য। পাশাপাশি, গত বছর ১৬ মার্চ ডিজেলের দর ৬৪.৬২ টাকা থাকাকালীন ভ্যাট বাবদ রাজ্য আয় করেছিল ৮.৮৩ টাকা। ১৯ ফেব্রুয়ারি দাম ৮৪.১৯ টাকার হিসেবে তা বেড়ে হয় ১২.৫২ টাকা। ফলে কেন্দ্রকে দোষারোপ করলেও রাজ্যই বা আগে দর কমাল না কেন সেই প্রশ্ন উঠছে।
যদিও অন্য অংশের ব্যাখ্যা, তেলে লিটার পিছু আয় বাড়লেই যে সরকারের সার্বিক আয় বাড়বে এমন নয়। কারণ লকডাউনের সময়ে তেলের মোট চাহিদাও মাথা নুইয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy