—প্রতীকী চিত্র।
কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডের (পিএফ) ন্যূনতম পেনশন এখন ১০০০ টাকা। বহু দিন ধরে যা বাড়িয়ে ৩০০০ টাকা করার দাবি উঠছে। শুক্রবার পিএফ অছি পরিষদের কর্মী প্রতিনিধিদের অভিযোগ, চড়া মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের পুঁজি-সঞ্চয়ে কামড় বসানোয় ফের পেনশনের টাকা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ফের তা উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। সংশ্লিষ্ট মহলের কটাক্ষ, খাবার, ওষুধ-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব কিছুর দাম বেড়েছে। একটি রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার কিনতেই খরচ হয় হাজার টাকার কাছাকাছি (কলকাতায় ৯২৯ টাকা)। ফলে হাজার টাকা পেনশন কার্যত কিছু না দেওয়ার সমান।
সূত্রের দাবি, গত মঙ্গলবার দিল্লিতে অছি পরিষদের (সিবিটি) জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। আলোচনার নথিতে ছিল ন্যূনতম পেনশন বৃদ্ধির প্রস্তাবও। কিন্তু কর্মী প্রতিনিধিদের অভিযোগ, তাঁরা সেই কথা তুললে কার্যত তা অগ্রাহ্য করেন শ্রমমন্ত্রী তথা সিবিটি-র চেয়ারম্যান ভূপেন্দ্র যাদব। অন্য কিছু বিষয়ে কথাবার্তা হলেও, ন্যূনতম পেনশন বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ‘ভবিষ্যতে’ হবে বলে জানিয়ে দেন। সিবিটির কর্মী প্রতিনিধি সদস্য দিলীপ ভট্টাচার্যের দাবি, ভবিষ্যৎ বলতে মন্ত্রী আগামী বৈঠকের কথাই বুঝিয়েছেন কি না, এই প্রশ্নও করা হয় তাঁকে। কিন্তু তিনি উত্তর দেননি। তার পরেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল। তাদের প্রশ্ন, আলোচনার নথিতে রাখার পরেও তোলা হল না কেন? ভবিষ্যতে আলোচনার তকমা লাগিয়ে কি তা এড়িয়ে গেলেন যাদব?
একাংশের দাবি, করোনা, মূল্যবৃদ্ধি, আর্থিক অনিশ্চয়তার পরেও দেশে কিছু মানুষের পুঁজি ফুলেফেঁপে উঠেছে। কিন্তু যাঁদের পকেটে টান পড়েছে, তাঁদের একাংশকে হাজার টাকা পেনশনেই ‘খুশি’ থাকতে বলা হচ্ছে। তা বাড়ানোর ইচ্ছা আদৌ কেন্দ্রের আছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। দিলীপ জানান, পিএফের কর্মী ও অফিসারদের বেতন সংক্রান্ত কিছু বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। কিন্তু ন্যূনতম পেনশন বৃদ্ধির মতো পিএফের আওতায় আসার জন্য বেতনের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো এবং এই সুবিধা কর্মীদের দেওয়ার জন্য নথিবদ্ধ হওয়ার শর্ত হিসেবে সংস্থার ন্যূনতম কর্মীর সংখ্যা কমানোর মতো বিষয়ও তোলা হয়নি আলোচনার নথিতে থাকলেও।
তাঁর দাবি, “বিষয়গুলি মানুষের স্বার্থের সঙ্গে জড়িয়ে। এগুলি পূরণ হলে আরও বহু সংস্থা ও আরও কর্মীকে পিএফের সুবিধা দিতে হবে। সেটা চায় না কেন্দ্র।’’ উল্লেখ্য, ২১,০০০ টাকা পর্যন্ত মাসিক বেতনের কর্মী ইএসআই প্রকল্পের আওতায় আসেন। অন্তত ১০ জন কর্মী থাকলে ইএসআইয়ে নথিবদ্ধ হয় সংস্থা। দিলীপের অভিযোগ, ‘‘পিএফেও ওই ব্যবস্থা চালুর দাবি জানাচ্ছি। কেন্দ্র কান দিচ্ছে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy