প্রতীকী ছবি।
শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ যাতে আদানি গোষ্ঠী পায়, তার জন্য মোদী সরকার প্রভাব খাটাচ্ছে বলে অভিযোগ করল কংগ্রেস। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকে ‘হম আদানিকে হ্যায় কওন’ শীর্ষক প্রচারে প্রত্যেক দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে তিনটি করে প্রশ্ন করছে তারা। শুক্রবারের প্রশ্নে নতুন এই অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দলটি।
এ দিন টুইটারে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের বক্তব্য, ২০১৯ সালের ২৮ মে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে সময়ে কলম্বোর দক্ষিণ বন্দরে ইস্ট কন্টেনার টার্মিনাল তৈরির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় ভারত, জাপান এবং শ্রীলঙ্কার সরকার। কিন্তু ২০২০ সালের ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপক্ষে জানিয়ে দেন, বন্দরটির তত্ত্বাবধানের জন্য আদানি পোর্টসকে নির্বাচিত করেছে ভারত সরকার। আগের চুক্তি খারিজ করে তার বিকল্প হিসেবে ভারত ও জাপানের সাহায্যে ওয়েস্ট কন্টেনার টার্মিনাল তৈরির কথাও জানান তিনি। সেই অনুযায়ী, ৩৫ বছরের জন্য বন্দরটির উন্নয়ন ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকার কথা দুই দেশের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলি সাবরি জানান, বন্দর সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির সরকারের মধ্যে। এই প্রসঙ্গেই রমেশ প্রশ্ন তুলেছেন, বিভিন্ন দেশের সরকারের মধ্যে হওয়া চুক্তিতে কিসের ভিত্তিতে আদানিদের মনোনীত করল কেন্দ্র? মোদীকে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘আর কোনও ভারতীয় সংস্থার সামনে কি বিনিয়োগের সুযোগ ছিল, নাকি আপনি শুধু আপনার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর জন্যই চুক্তিটি সংরক্ষিত রেখেছিলেন?’’ দ্বীপরাষ্ট্রটিতে বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের বরাত যাতে আদানিরা পায়, তার জন্যও প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করছেন বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা।
এ দিকে, আদানি ট্রান্সমিশন এবং আদানি টোটাল গ্যাসকে দ্বিতীয় পর্যায়ের অতিরিক্ত দীর্ঘমেয়াদি নজরদারির আওতায় রাখতে চলেছে বিএসই এবং এনএসই। ১৩ মার্চ থেকে তা কার্যকর হচ্ছে। এর আগে আদানি এন্টারপ্রাইজ়েস, আদানি পাওয়ার এবং আদানি উইলমারকে স্বল্পমেয়াদি নজরদারিতে এনেছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy