এখন কেন্দ্রীয় করের ৪১% রাজ্যগুলির মধ্যে ভাগ হয়। সূত্রের খবর, সেই হার ৪০ শতাংশে নামাতে চাইছে মোদী সরকার। এই ভাবনা বাস্তবায়িত হলে কেন্দ্রের কোষাগারে অতিরিক্ত ৩৫০০ কোটি টাকা থাকতে পারে। এই অঙ্ক অবশ্য কর আদায়ের আনুমানিক অঙ্কের নিরিখে হিসাব করা। বাস্তবে তা কম-বেশি হতে পারে। বিভিন্ন সূত্রের উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হলেও অর্থ মন্ত্রক এবং অর্থ কমিশন এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সংশ্লিষ্ট মহলের আশঙ্কা, বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য নতুন চাপানউতোর শুরু হতে পারে।
সূত্রের খবর, করে রাজ্যের ভাগ কমানোর ব্যাপারে শীঘ্রই সুপারিশ করতে পারে কেন্দ্র। মার্চের শেষের দিকে তা মন্ত্রিসভায় পাশ হওয়ার পরে পরামর্শের আকারে যেতে পারে অর্থ কমিশনের কাছে। তার ভিত্তিতে অক্টোবর নাগাদ সুপারিশ দিতে পারে কমিশন। সে ক্ষেত্রে ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষের মধ্যে তা কার্যকর হতে পারে। অন্য এক সূত্রের দাবি, কেন্দ্রের যুক্তি, ১৯৮০ সালে কেন্দ্রের সংগ্রহ করা করের ২০% রাজ্যগুলির মধ্যে ভাগ করা হত। তা বাড়তে বাড়তে ৪১ শতাংশে পৌঁছেছে। আবার একই সঙ্গে অর্থনীতির গতি কমার ফলে কেন্দ্রের খরচ বেড়েছে। সে কারণে তাদের হাতে আরও পুঁজি প্রয়োজন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)