—প্রতীকী চিত্র।
জিএসটি ফাঁকি এবং প্রতারণা ঠেকাতে ক্রমাগত পদক্ষেপ করে চলেছে কেন্দ্র। এরই অংশ হিসেবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ইডি) জিএসটি নেটওয়ার্কের (জিএসটিএন) সঙ্গে তথ্য আদানপ্রদানের অনুমতি দিল কেন্দ্র। সম্প্রতি এর জন্য বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ সংক্রান্ত বিধিতে সংশোধন আনা হয়েছে। আবার কোনও সংস্থার জিএসটি ফেরতের দাবিতে তথ্যের অসঙ্গতির ইঙ্গিত মিললেও আগামী দিনে তাদের থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হতে পারে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার জিএসটি পরিষদের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি, সরকার পরিচালিত অনলাইন বাজার ওএনডিসিতে পণ্য সরবরাহকারীর উপরে কত জিএসটি চাপবে তা-ও পরিষ্কার হবে বৈঠকে।
২০১৭ সালের ১ জুলাই জিএসটি চালু হওয়ার পরে ছ’বছর কেটে গিয়েছে। কর সংগ্রহ ধারাবাহিক ভাবে বাড়লেও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কর প্রতারণা। যা ঠেকাতে সম্প্রতি বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। এ বার কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত, জিএসটিএনের সঙ্গে বিভিন্ন তথ্য বিনিময় করতে পারবে ইডি। জিএসটি ব্যবস্থার প্রযুক্তি সামাল দেওয়ার কাজ করে জিএসটিএন। রিটার্ন, কর জমা-সহ বিভিন্ন তথ্যও থাকে তাদেরই হাতে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, বেআইনি আর্থিক লেনদেনের ফলে যে জিএসটি ক্ষতি হয় তা উদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এই সিদ্ধান্ত। এখন সিবিআই, এসএফআইও, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক, প্রতিযোগিতা কমিশন, এনআইএ-সহ ২৫টি সংস্থার সঙ্গে তথ্য বিনিময় করে ইডি। বিধি সংশোধনের ফলে তা বেড়ে ২৬ হল।
অন্য দিকে, কোনও সংস্থা অত্যধিক জিএসটি ফেরতের দাবি করছে বলে মনে হলে, তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ারও ভাবনাচিন্তা করছে কেন্দ্র। কেন্দ্র ও রাজ্যের কর আধিকারিকদের নিয়ে গঠিত জিএসটির আইন সংক্রান্ত কমিটি এই নিয়ে আলোচনা করেছে। সূত্রের বক্তব্য, জিএসটি রিটার্ন ফর্ম জিএসটিআর-২বি স্বয়ংক্রিয় ভাবে তৈরি হয়। আর জিএসটিআর-৩বি-এর মাধ্যমে সংস্থাগুলি কর ফেরতের দাবি জানায়। কমিটির মতে, এই দুই ফর্মে তথ্যের ২০% বা ২৫ লক্ষ টাকার ফারাক হলেই সংস্থার থেকে ব্যাখ্যা তলব করা উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy