প্রস্তাব ছিল, ঠিকা কর্মীদের বকেয়া বেতনের কিছুটা অন্তত পাওয়ার বন্দোবস্ত করতে নিজেদের বেতন এক মাস পরে নিন স্থায়ী কর্মী-অফিসারেরা। সোমবারের মধ্যে এ নিয়ে তাঁদের সংগঠনগুলিকে লিখিত সম্মতিও জানাতে বলেছিলেন বিএসএনএলের কলকাতা সার্কলের সিজিএম বিশ্বজিৎ পাল। কিন্তু এ দিন সংগঠনগুলি জানিয়েছে, এ নিয়ে ঐকমত্য হয়নি। ফলে এখন তা কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
দেশে বিএসএনএলের ঠিকা কর্মীদের বেতন বাকি প্রায় ছ’মাস পর্যন্ত। যা নিয়ে প্রায়ই বিক্ষোভ-আন্দোলন করছেন তাঁরা। এই অবস্থায় সিজিএমের প্রস্তাবকে শুরু থেকেই মানবিক বললেও, তা সংস্থার সার্বিক আর্থিক সঙ্কটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান করবে না বলেই ধারণা কর্মী-মহলের।
সঞ্চার নিগম এগ্জ়িকিউটিভ অ্যাসোসিয়েশনের অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক দিলীপ সাহা বলেন, ‘‘এটি ব্যক্তিগত বিষয়। একমাত্র কর্তৃপক্ষই পারেন সরাসরি কর্মীদের এ নিয়ে আর্জি জানাতে। তবুও তা করেছি। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, স্থায়ী কর্মীদেরও সকলের অবস্থা সমান নয়।’’
সিজিএমের প্রস্তাবে কর্মীরা সকলে সহমত হননি বলে জানিয়েছেন বিএসএনএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের শিশির রায় ও টেলিকম এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (বিএসএনএল) বিশ্বনাথ দত্তও। শিশিরবাবুর দাবি, ঠিকা কর্মীদের বেতন বকেয়া প্রায় ৬৭.৫০ কোটি টাকা। সেখানে স্থায়ী কর্মীদের এক মাসের বেতন প্রায় ২০ কোটি। ফলে এক বারের বিক্ষিপ্ত পদক্ষেপে সমস্যার সুরাহা নিয়ে সন্দিহান তাঁরা।
বস্তুত, দিলীপবাবু ও শিশিরবাবুর আশঙ্কা, এই প্রস্তাব বরং নতুন করে গভীর সঙ্কটের সৃষ্টি করবে। তাঁদের দাবি, স্থায়ী কর্মীরা মাস দুয়েক ধরে তাঁদের বেতনের প্রায় অর্ধেক পাচ্ছেন না। পিএফ, ব্যাঙ্কের ঋণের ইএমআইয়ের মতো প্রাপ্য টাকা মিলছে না। ফলে তাঁরাও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। বরাত অনুযায়ী, পণ্য পরিষেবা দেওয়ার পরেও বিল বাকি বিভিন্ন অনেক সহযোগী সংস্থারও। সব মিলিয়ে দ্রুত সমাধান না হলে পরিষেবা নিয়েই সঙ্কট তৈরি হতে পারে। তাই তাঁদের বক্তব্য, এ ভাবে টুকরো পদক্ষেপের বদলে বরং সব ধরনের বকেয়া মেটানোর জন্য বিএসএনএলের প্রাপ্য বিপুল অঙ্কের টাকা মেটাক কেন্দ্র। নয়তো এককালীন অর্থ বরাদ্দ করুক। নিদেন পক্ষে করা হোক সহজে ঋণ পাওয়ার ব্যবস্থা। নইলে শহরে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির পরিষেবা চালানোই কঠিন হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy