—প্রতীকী চিত্র।
মোবাইলে ভুয়ো এবং আর্থিক প্রতারণার উদ্দেশ্যে করা কল-মেসেজ রুখতে বিশেষ রক্ষাকবচ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই। যাতে নম্বরগুলিকে আগে থেকেই চিহ্নিত করে সাধারণ মানুষকে সাবধান করে দেওয়া যায়। তার পরেই সেই পথে কোমর বেঁধে নামছে সংস্থাগুলি। এয়ারটেল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর এই প্রযুক্তি চালু করেছে গত সেপ্টেম্বরে। চলতি সপ্তাহে চালু করল বিএসএনএল। বুধবার এয়ারটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, ব্যবস্থাটি গ্রাহকদের ফোনে আসা কল বা মেসেজ আর্থিক প্রতারণার লক্ষ্যে কি না, তা আগাম জানাবে। টেলি-বিপণন কল ও মেসেজগুলিকেও আগামী দিনে আলাদা করে চিহ্নিত করা হবে।
এ দিন এয়ারটেলের বেঙ্গল সার্কলের সিইও অয়ন সরকার জানান, এই ধরনের আর্থিক জালিয়াতির জন্য করা কলগুলি চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু করার মাত্র ২৮ দিনের মধ্যে শুধু কলকাতা সার্কলেই ১৫.৪ কোটি এমন কল চিহ্নিত হয়েছে। বুধবার বিকেল পর্যন্ত ধরা পড়েছে ১.২০ কোটি প্রতারণামূলক মেসেজও। সম্প্রতি টেলিকম মন্ত্রক জানিয়েছে, মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ১.৩৫ কোটি ভুয়ো কিংবা জালিয়াতির জন্য করা ফোন কল চিহ্নিত করে তা ব্লক করেছে তারা। এই ধরনের অবাঞ্ছিত কল রুখতে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইনকামিং স্পুফড কলস প্রিভেনশন সিস্টেম’ নামক এক প্রযুক্তিও আনা হয়েছে।
এয়ারটেল কর্তা জানান, সুইগি, জ়োম্যাটো, অ্যামাজ়ন, ফ্লিপকার্টের মতো অ্যাপের সঙ্গেও কথাবার্তা চলছে। তারা এয়ারটেলের সঙ্গে যুক্ত হলে তাদের ফোন কল বা মেসেজও আলাদা করে চিহ্নিত হবে। সংস্থার দাবি, এই সব ব্যবস্থায় তথ্য চুরি বা আর্থিক প্রতারণার আশঙ্কা কমবে। অথচ এর জন্য গ্রাহকদের কিছু করতে হবে না। তাঁরা যে রকম ফোন ব্যবহার করছেন, তেমনই করবেন। গোটা প্রক্রিয়াটা কৃত্রিম মেধা নির্ভর প্রযুক্তি সারবে বলে জানান অয়ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy