E-Paper

ফের অ্যাপের আয় ভাগের নিয়মের দাবি

গত মাসে আমেরিকার কংগ্রেসে বিলের প্রস্তাব পেশ হয়েছে। বলা হয়েছে, ব্রডব্যান্ডের খরচ কমাতে নির্দেশ দেওয়া হোক ওটিটিগুলিকে।

An image of OTT

—প্রতীকী চিত্র।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৩২
Share
Save

অনলাইনের উপরে ভিত্তি করে পরিষেবা প্রদানকারী অ্যাপগুলির (ওটিটি) আয়ের একটা অংশ ভাগ করে নেওয়ার দাবি বহু দিন ধরেই জানাচ্ছে টেলিকম সংস্থাগুলি। এ বার তাদের সংগঠন সিওএআই-এর বক্তব্য, আমেরিকায় এ জন্য যে বিলের প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে, সে রকমই আইন চালু হোক ভারতে। যাতে গ্রাহকের ফোনের মাসুল না বাড়িয়েও উন্নত পরিষেবা দেওয়া সম্ভব।

গত মাসে আমেরিকার কংগ্রেসে বিলের প্রস্তাব পেশ হয়েছে। বলা হয়েছে, ব্রডব্যান্ডের খরচ কমাতে নির্দেশ দেওয়া হোক ওটিটিগুলিকে। ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউব-নেটফ্লিক্সের মতো ভিডিয়ো স্ট্রিমং অ্যাপ, গুগ্‌লের মতো সার্চ ইঞ্জিন, হোয়াটসঅ্যাপের মতো নেট-মেসেজ অ্যাপ, অ্যামাজনের মতো ই-কমার্স সংস্থা, ভিডিয়ো কনফারেন্সিং অ্যাপ ও ভিডিয়ো গেম সংস্থাগুলিকে বিশেষ তহবিলে (ইউনিভার্সাল ফান্ড) টাকা দিক। সেই অর্থ ব্যবহার করা হোক টেলি পরিকাঠামো তৈরিতে। এতে টেলি পরিষেবা উন্নত হওয়ার পাশাপাশি তার খরচ কমবে।

সিওএআই-এর ডিজি এস পি কোছরের দাবি, প্রস্তাবিত বিলই প্রমাণ করে যে ভারতেও এই ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। ঠিক যে দাবি তাঁরা করছেন। তাঁর কথায়, ‘‘টেলি সংস্থা এবং এজ কম্পিউটিং বা নেট ভিত্তিক পরিষেবা প্রদানকারীদের সংজ্ঞা স্পষ্ট বলা রয়েছে বিলটিতে। ভারতেও এ ধরনের ব্যবস্থা চালু হওয়া দরকার। তবে আমেরিকার ক্ষেত্রে যে ভাবে নেটের ব্যবহারকারীর ভিত্তিতে ৩% লোক টানে (নেটওয়ার্ক ট্রাফিক লোড) এমন সংস্থার কথা বলা হয়েছে, আমরা তা হয়তো ৮ শতাংশে রাখতে আগ্রহী। অর্থাৎ, তাতে শুধুমাত্র খুব বড় মাপের নেট ভিত্তিক পরিষেবা দানকারীদেরই (আয় ভাগের ক্ষেত্রে) লক্ষ্য করা হয়েছে। ছোট সংস্থা বা স্টার্ট-আপগুলিকে নয়।’’

নেট ভিত্তিক পরিষেবা সংস্থাগুলির অবশ্য দাবি, এতে নেট নিরপেক্ষতা ধাক্কা খাবে। তা ছাড়া ছোট সংস্থাগুলি ও স্টার্ট-আপের ক্ষতি হবে বেশি।

কোছরের বক্তব্য, ভারতে টেলি সংস্থাগুলির বর্তমান পরিকাঠামো ধরে রাখতে এবং ভবিষ্যতের প্রয়োজনের জন্য গ্রাহক পিছু আয় বা আরপু ৫০০ টাকা হওয়া দরকার। ওটিটিগুলি হয় বিজ্ঞাপন দিয়ে নয়তো মাসুলের ভিত্তিতে পরিষেবা দেয়। অর্থাৎ, রোজগার করে। তারা সেই অর্থের একাংশ ভাগ করলে যদি টেলি মাসুল না বাড়িয়েও আরপু ৫০০ টাকায় নিয়ে যাওয়া যায়, তা হলে টেলি সংস্থাগুলি সেই পথে হাঁটবে বলে মনে হয় না।

উল্লেখ্য, অক্টোবরে টেলিকমমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছিলেন, সরকার চায় ভারতের টেলি মাসুল থাকুক বিশ্বে সবচেয়ে সস্তা। বর্তমানে দেশে গ্রাহক পিছু আয় ১৪০-২০০ টাকা। বিশ্বে গড়ে তা ৬০০-৮৫০ টাকা। কোছরের মতে, সরকার যদি আমেরিকার মতো বিল আনে, তা হলে ওটিটিগুলিও বাধ্য হবে কত গ্রাহক তারা টানছে সে কথা জানাতে। সেই অনুসারে পরিকাঠামোর খরচের কতটা তারা দিতে পারবে তা নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব।


(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

share

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

ক্যানসেল করতে পারবেন আপনার সুবিধামতো

Best Value
প্রতি বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
প্রতি মাসে

৪২৯

১৬৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।