অশ্বিনী বৈষ্ণব। —ফাইল চিত্র।
মোবাইল থেকে কম্পিউটার, গাড়ি থেকে ফ্রিজ। সেই সঙ্গে অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিন ও প্রযুক্তি ক্ষেত্র, বর্তমান যুগে সব কিছুরই গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ হল সেমিকনডাক্টর চিপ। এ ক্ষেত্রে ভারতকে ‘আত্মনির্ভর’ করতে আগ্রহী মোদী সরকার সেমিকনডাক্টর-নীতি তৈরির পাশাপাশি আর্থিক সুবিধাও বাড়িয়েছে। কিন্তু তাতে যে তেমন লগ্নি প্রস্তাব এসেছে, এমন নয়। বরং আগ্রহী লগ্নিকারীদের অন্যতম বেদান্ত-ফক্সকনের গাঁটছড়াই ভেঙে যাওয়ায় প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। সে সবে কার্যত কান না দিয়ে টেলিকমমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের বার্তা, আগামী কয়েক মাসেই এই ক্ষেত্রে দু’টি বড় প্রস্তাব চূড়ান্ত হওয়ার আশা। সঙ্গে দাবি, ভারতের উন্নতি এবং বড় ও জটিল নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আস্থা রয়েছে বিশ্বের চিপ সংস্থাগুলির।
শনিবার গুজরাতের সানন্দে আমেরিকার মাইক্রন টেকনোলজিসের চিপ কারখানার শিলান্যাস হয়। প্রথম পর্যায়ে তা চালু হতে পারে ২০২৪ সালে। শিলান্যাসের ফাঁকেই মন্ত্রীর দাবি, আরও দু’টি প্রকল্প এমন ক্ষেত্রে নজর দেবে, যেখানে বিশ্বে নেতৃত্ব দেওয়ার জায়গায় পৌছতে পারে ভারত। বলেন, ‘‘(প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা) ভারতকে ভরসার গন্তব্য হিসেবে গড়ে তুলেছে। আন্তর্জাতিক শিল্প মহল যেখানে আসতে আগ্রহী। কয়েক মাসেই অন্তত দু’টি বড় সেমিকনডাক্টর লগ্নির প্রস্তাব চূড়ান্ত আকার নেবে বলে আশা।’’
বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরেরও দাবি, মাইক্রনের প্রকল্পটি বিশ্বের চিপ সংস্থাগুলিকে ভারতে টেনে আনতে সাহায্য করবে। সরকারি সূত্র জানাচ্ছে, মাইক্রনের অন্তত পাঁচটি সহযোগী যন্ত্রাংশ সংস্থাও ভারতে কারখানা গড়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
উল্লেখ্য, গুজরাত ও মোদী সরকার এই প্রকল্প নিয়ে বড়াই করলেও, তা নিয়ে কটাক্ষ করে কংগ্রেসের দাবি ছিল, এর খরচের (২২,৫৪০ কোটি টাকা) ৩০% ঢালবে মাইক্রন। ৫০% কেন্দ্র ও ২০% গুজরাত সরকার। তাই প্রকল্পটি আসলে আমেরিকার সংস্থাকে দেওয়া বিপুল ভর্তুকি।
এ দিকে, এই প্রকল্প নির্মাণের বরাত পেয়েছে টাটা প্রজেক্টস। পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুর থেকে ‘বিতাড়িত’ হয়ে সানন্দেই ছোট গাড়ির কারখানা গড়েছিল টাটা মোটরস। পরে সেখানে আসে আমেরিকার ফোর্ড মোটর। ফোর্ড সেটি বন্ধ করার পরে তা কিনেছে টাটাদের গাড়ি সংস্থাটি। এ বার মাইক্রনের কারখানা গড়ছে টাটারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy