প্রতীকী ছবি।
সংসদে সোমবার অধিবেশন শুরু হওয়ার দিনে ভারী শিল্পমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের দাবি ছিল, উৎসবের মরসুমে যাত্রী গাড়ির চাহিদা বেড়েছে। সম্প্রতি বিক্রেতারাও বড় মুখ করে বলেছিলেন, অন্তত এই সময়টাতে কিছুটা লাভ চোখে দেখার আশা করছেন তাঁরা। প্রতি বছরের মতোই। তবে মঙ্গলবার ডিলারদের সংগঠন ফাডা জানাল, অক্টোবরে আগের বছরের একই মাসের চেয়ে খুচরো বাজারে বিক্রি ৪% বেড়েছে ঠিকই। কিন্তু গত বছরের উৎসবের মরসুমের (৪২ দিন) সঙ্গে তুলনা করলে আদতে সার্বিক বিক্রি কমেছে ২%। বিভিন্ন সংস্থা ও ডিলাররা বিপুল ছাড় দেওয়া সত্ত্বেও। দু’চাকা বাদে এ রাজ্যে কম বিকিয়েছে সব ধরনের গাড়ি।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, এ জন্য দায়ী অর্থনীতির ঝিমুনি না-কাটাই। তবে এ দিন সে কথা ওড়ান জাভড়েকর। বদলে যুক্তি দেন, এটা অর্থনীতির স্বাভাবিক ওঠাপড়ার চক্র। যা দূর করতে সরকার একাধিক পদক্ষেপ করেছে। সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, তা-ই যদি হবে, তবে পরিসংখ্যানে কেন স্পষ্ট, অন্যান্য বারের মতো এ বার উৎসবে গাড়ির চাহিদা ছিল না। বিশেষত ইচ্ছুক ক্রেতারা যেখানে জানেন, এই মরসুমের মতো ছাড় অন্য সময় পাওয়া মুশকিল।
চাহিদার অভাবে দেশে যাত্রী গাড়ির বাজার কয়েক দশকের তলানিতে। অর্থনীতির বেহাল দশা প্রকট বাণিজ্যিক গাড়ি বিক্রির খতিয়ানে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, দু’চাকার বিক্রি কমা গ্রামীণ অর্থনীতিতেও চাহিদার ঘাটতিকে প্রকট করছে। এ সবের মধ্যে আগামী বছর থেকে দূষণ বিধি বিএস৬ মাপকাঠির গাড়ি বিক্রি বাধ্যতামূলক হওয়ায়, এখনকার বিএস৪ মাপকাঠির গাড়ি নিয়েও অনিশ্চয়তা আছে বাজারে।
তবে অক্টোবরের হিসেবে ব্যবসার চাকা ঘোরার ইঙ্গিত দেখছেন ফাডা-র প্রেসিডেন্ট আশিস হর্ষরাজ কালে। যদিও ডিলারদের প্রতি তাঁর সতর্কবার্তা, দুর্বল আর্থিক পরিস্থিতি আর বিএস৬ মাপকাঠিতে উত্তরণের প্রেক্ষিতে আগ্রহী ক্রেতাদের মধ্যে গাড়ি কেনা নিয়ে দ্বিধা থাকছেই। তাই মজুত ভাণ্ডার ও খরচ নিয়ে সাবধান থাকা উচিত। তবে শিল্পের একাংশের দাবি, এ বার একই মাসে নবরাত্রি ও কালীপুজো হওয়ায় সব মিলিয়ে অক্টোবরে বিক্রি বেড়েছে। যে কারণে নভেম্বরের বিক্রি নিয়ে সংশয় বহালই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy