—প্রতীকী চিত্র।
প্রযুক্তিগত ভাবে বুধবার কলকাতায় চালু হয়ে গেল রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএলের ৪জি পরিষেবা। তবে সাধারণ গ্রাহকদের কাছে সেই সুবিধা পৌঁছবে মাস খানেক পর থেকে। ওই সময়েই কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ধাপে ধাপে চালু হতে শুরু করবে তাদের ৪জি সংযোগ। সংস্থার মোবাইল পরিষেবার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অয়ন পালের আশা, মাস দুয়েকের মধ্যে কলকাতা ছাড়াও রাজ্যের ৫০টি শহরের গ্রাহকেরা তা পাবেন। পুরো রাজ্যকে দিতে অবশ্য এক বছর গড়িয়ে যেতে পারে।
বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি যখন ৫জি-তে পা রেখেছে, তখনও বিএসএনএল ৪জি আনতে না পারায় বহু গ্রাহক ক্ষুব্ধ হয়ে ইতিমধ্যেই সংযোগ ছেড়েছেন। একাংশ রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটিকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। এ দিন অবশ্য কেন্দ্রীয় টেলি-যোগাযোগ দফতরের স্পেশ্যাল ডিরেক্টর জেনারেল জি আর রবি জানান, বিএসএনএলের ৪জি আনতে একটু দেরি হয়েছে বটে। তবে সেটা সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি এবং যন্ত্রাংশ ব্যবহার করার জন্য। এই উদ্যোগ দেশের টেলি-যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে তো সহায়ক হবেই। পাশাপাশি এর সুফল পাবে সংশ্লিষ্ট উৎপাদন শিল্প, সরবরাহ পরিকাঠামো-সহ আরও অনেক ক্ষেত্র। তাঁদের দাবি, দেশের বাকি অঞ্চলে বিএসএনএলের ৪জি চালু হয়েছে আগেই। শেষ দফায় পালা ছিল পূর্বাঞ্চলের। এ রাজ্যে তা চালু করতে ১০৭৯ কোটি টাকা লগ্নি করেছে সংস্থা।
এ দিন তাদের বালিগঞ্জ এক্সচেঞ্জ থেকে গোটা রাজ্যের জন্য ৪জি পরিষেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রবি। এত দেরিতে ৪জি এনে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারা নিয়ে সংশয়ের প্রেক্ষিতে কলকাতা টেলিফোন্সের চিফ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিস সরকারের বার্তা, “এই বাজারে দখল বাড়াতে শীঘ্রই বিভিন্ন টেলিকম পরিষেবা সংস্থার মধ্যে ‘মাসুল যুদ্ধ’ শুরু হবে। দেশে বিএসএনএলের যে পরিকাঠামো এবং দক্ষ কর্মী রয়েছে, তাতে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে বাড়তি সুবিধা পাব।’’
অয়ন বলেন, ‘‘৪জি পরিষেবা দিতে ৭০০, ২১০০ এবং ২৫০০ মেগাহার্ৎজ় বেতারতরঙ্গ ব্যবহার করছি। যাতে শহরের পাশাপাশি রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সহজে সিগনাল পাওয়া যায়। ৭০০ মেগাহার্ৎজ় দিয়েই দূরবর্তী জায়গাগুলিতে পরিষেবা দেওয়া সহজ হবে।’’ দেবাশিসের দাবি, ৪জি-র যন্ত্রাংশ দিয়েই বছর খানেকের মধ্যে ৫জি চালু করার আশা। অর্থাৎ ৪জি আনতে তিন বছরেরও বেশি লাগলেও, ৫জি আসবে অনেক দ্রুত।
রাজ্যে বিএসএনএলের ১৭২০টি টাওয়ার রয়েছে। সবগুলিকেই ৪জি পরিষেবার উপযুক্ত করে তোলা হবে বলে জানান অয়ন। এ ছাড়াও বসানো হবে নতুন ২৩০টি টাওয়ার। দেশ জুড়ে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে বিএসএনএলের ৪জি আনার কাজ চালিয়েছে টাটা গোষ্ঠীর টিসিএস, তেজস এবং সি-ডট। অয়ন জানান, শুধু বড় সংস্থা নয়, পরিষেবাটি বাস্তবায়িত করতে বেশ কিছু ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি সংস্থারও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy