—ফাইল চিত্র।
দার্জিলিঙের চা বাগান শ্রমিকেরা ২০% হারেই পুজোর বোনাস পাবেন। শুক্রবার কলকাতায় শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে চূড়ান্ত হল এই প্রস্তাব। তবে সূত্রের খবর, তার ৬০% মিলবে ১০ দিনে। বাকি ৪০% পাওয়ার দিনক্ষণ ও কিস্তির বিষয়টি নভেম্বরে ফের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ঠিক হবে। ইউনিয়নগুলি এ দিনের সিদ্ধান্তে খুশি। জানিয়েছে, আজ থেকে বাগানে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হবে।
বোনাস নিয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক ও একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে। সাতটি ইউনিয়ন ও মালিকপক্ষ নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকায় এ দিনেরটি ঘিরেও ছিল সংশয়। পুজোর আগে বাগান মালিকেরা কিছু বাগানে ১২% হারে আগাম বোনাস দেওয়ার দাবি করলেও ইউনিয়নগুলি তা অস্বীকার করে। শ্রম দফতর সূত্রের খবর, এ দিনও মালিকপক্ষ জানায় ১৮.৫ শতাংশের বেশি বোনাস দিতে অক্ষম তারা। কিন্তু ইউনিয়ন ২০ শতাংশের দাবিতে অনড় থাকে। পরে শ্রমমন্ত্রী রাজ্যের তরফে ২০ শতাংশেরই প্রস্তাব দেন। তবে বোনাস মিলবে কিস্তিতে।
বিকেলে মোর্চা নেতা বিনয় তামাং অনশন প্রত্যাহার করেছেন। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট করুণা গুরুঙ্গ, সিপিএম নেতা সমন পাঠক প্রমুখের দাবি, তাঁদের আন্দোলনের জয় হয়েছে। তবে সিটুর রাজ্য সভাপতি সুভাষ মুখোপাধ্যায় কিস্তিতে বোনাস দেওয়ার সমালোচনা করেন। তাঁর দাবি, মালিকপক্ষের প্রতি রাজ্যের নরম মনোভাব ও শাসকদলের ইউনিয়নের জন্যই এটা হয়েছে। বিমলপন্থী মোর্চার মুখপাত্র বি পি বজগাই-এরও তোপ, ‘‘কিস্তিতে দেওয়া হবে কেন? এটা বিনয় তামাং নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য করল। পাহাড়ের উপকার হবে না।’’
দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশনের মুখ্য উপদেষ্টা সন্দীপ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, গোটা বিষয়টির রাজনীতিকরণ হয়েছিল। এর জেরে পাহাড়ে ফের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি রুখতেই সংগঠনগুলির দাবি মেনেছেন তাঁরা। বস্তুত, দু’বছর আগে পাহাড়ে টানা ১০৮ দিন ধর্মঘটে ধাক্কা খেয়েছিল চা শিল্প। জোগানের অভাবে বিশ্ব বাজারে সুনাম হারিয়েছিল দার্জিলিং চা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy