গত এক বছরে দু’টি সংস্থার বাজার অংশীদারিত্ব সামান্য কমেছে টাটার। তবে তাতে তার আসন টলানো যায়নি। ফাইল চিত্র।
ফেলে আসা বছরে আদানি গোষ্ঠীর উত্থান হয়েছে উল্কাগতিতে। তথ্য অন্তত সে রকমই বলছে। গত ছ’মাসে দেশের বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্র— সে প্রাকৃতিক গ্যাস হোক বা খনিজ পদার্থ, তেল হোক বা বিদ্যুৎ, এমনকি বন্দর ব্যবসাতেও একেবারে প্রথম দিকে চলে এসেছে আদানিরা। একের পর এক এসেছে সরকারি বরাত। বিশ্ব ধনী তালিকাতেও প্রথম পাঁচে ঝলমল করছে শিল্পপতি গৌতম আদানির নাম। তবু ২০২২ সালের শেষে ভারতের শেয়ার বাজারে অংশীদারিতে পুরনো ‘দাদা’কে টেক্কা দিতে পারল না আদানি গোষ্ঠী। শেয়ার বাজারের তথ্য জানিয়ে দিল, এখনও টাটা গোষ্ঠীই বাজারের অংশীদারির নিরিখে প্রথম।
গত কয়েক মাসে নাগাড়ে সংস্থার আয়তন বৃদ্ধি করেছে আদানিরা। একের পর এক সংস্থা অধিগ্রহণ করেছেন গৌতম। বিড়লা গোষ্ঠীর অম্বুজা সিমেন্ট, এসিসি, এনডিটিভি— তালিকা বেড়েই চলেছে ক্রমশ। সব মিলিয়ে আদানি গোষ্ঠীর ছাদের নীচে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ১ লক্ষ ৫২ হাজার কোটি টাকার মূলধন। আদানি উইলমার আরও ৮০ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জুড়েছে এই মূলধনে। অন্য দিকে, টাটা গোষ্ঠীর বাজারের অংশীদারি কিছুটা হলেও নিম্নমুখী হয়েছে। টাটা গোষ্ঠীর ‘চোখের দুই মণি’ টাটা মোটরস এবং টিসিএসের বাজার অংশীদারি কিছুটা কমায় ২০২২ সালের শেষে টাটা গোষ্ঠীর মূলধন ৯.৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২১ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকায়। তবে তার পরও আদানিকে টেক্কা দিয়েছে টাটা।
তবে গত বছরে দেশের প্রায় সমস্ত পরিবার নিয়ন্ত্রিত ব্যবসাগুলিরই বাজার অংশীদারি কমেছে। আদানি ছাড়া বাকি সমস্ত পরিবার নিয়ন্ত্রিত সংস্থার বাজার অংশীদারি কমেছে ৩.৫ শতাংশ। যেখানে ২০২১ সালে এই ধরনের শিল্প সংস্থাগুলির বাজার অংশীদারি ৪৬.৪ শতাংশ বেড়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy