মাসখানেক আগের পুনরাবৃত্তি ঘটল সুপ্রিম কোর্টে। বকেয়া স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স ফি সংক্রান্ত মামলায় তাদের নির্দেশ অমান্য করার জন্য ফের সর্বোচ্চ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতর (ডট) ও টেলি-সংস্থাগুলির একাংশ।
ডটের নিয়ম অনুযায়ী আয়ের নতুন হিসেবের (এজিআর) প্রেক্ষিতে সংস্থাগুলিকে সুপ্রিম কোর্ট গত অক্টোবরে বকেয়া মেটাতে নির্দেশ দিলেও রিলায়্যান্স জিয়ো ছাড়া কেউ মেটায়নি। এমনকি তা-সত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না-নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন ডটের এক অফিসার। গত মাসে এই মামলার শুনানিতে সে সব নিয়ে ডট ও টেলি-সংস্থাগুলিকে তীব্র ভর্ৎসনা করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে সর্বোচ্চ আদালত। অবশ্য তড়িঘড়ি সে দিন রাতেই ডট ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করে বকেয়া মেটাতে বলে সংস্থাগুলিকে। এরপর ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন-আইডিয়া ও টাটা টেলিসার্ভিসেস (যারা বকেয়া আগে মেটায়নি) ধাপে ধাপে তা মেটায়। তবে একই সঙ্গে দাবি করে, ডটের হিসেবের মাপকাঠি মানলেও, তারা তার ভিত্তিতে স্বেচ্ছা-মূল্যায়ন করেই বকেয়ার হিসেব কষেছে। সূত্রের খবর, ডটের হিসেবে ওই তিন সংস্থার বকেয়ার অঙ্ক ১.১৯ লক্ষ কোটি টাকা হলেও, সংস্থাগুলির হিসেব তার চেয়ে প্রায় ৮২ হাজার কোটি কম। ডট অবশ্য জানিয়েছিল, তাদের হিসেবের সঙ্গে সংস্থাগুলির নিজস্ব মূল্যায়নের ফারাক হলে তা খতিয়ে দেখা হবে।
বুধবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সংস্থাগুলির ওই স্বেচ্ছা-মূল্যায়নের জন্য উভয় পক্ষকে ফের ভর্ৎসনা করে বিচারপতি অরুণ মিশ্র, বিচারপতি এস এ নাজ়ির ও বিচারপতি এম আর শাহ-র বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, সংস্থাগুলির ওই পদক্ষেপ কোনও মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। বেঞ্চের দাবি, তাতে সায় দিলে সেই ‘প্রতারণা’য় শামিল হবে সর্বোচ্চ আদালতও। ডট সংস্থাগুলিকে সেই অনুমোদন দেওয়ায় বেঞ্চ জানায়, এ জন্য টেলিকম সচিব ও অফিসারদের সমন পাঠানো হবে।
বস্তুত, বকেয়ার হিসেব কষা নিয়ে ডট ও টেলিকম শিল্পের মধ্যে বিতর্কটি প্রায় দেড় দশক পুরনো। সুপ্রিম কোর্টও এ দিন বলেছে, উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেই তারা বকেয়ার অঙ্ক চূড়ান্ত করেছে। তাই আদালতের নির্দেশ মতো সংস্থাগুলিকে ডটের হিসেব অনুযায়ী পুরো বকেয়াই মেটাতে হবে। এ দিন অবশ্য কোনও টেলিকম সংস্থা বা তাদের সংগঠন সিওএআই কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
টেলিকম শিল্পের আর্থিক সঙ্কটের কথা বিবেচনা করে ২০ বছর ধরে কিস্তিতে বকেয়া মেটানোর জন্যও আদালতের অনুমতি চেয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছে কেন্দ্র। তবে এ দিন ওই বেঞ্চের বক্তব্য, ওই সময়সীমা অযৌক্তিক। দু’সপ্তাহ পরে এই আর্জির শুনানি হবে বলে জানিয়েছে বেঞ্চ।
এ দিকে, এই টেলিকম শিল্পের বকেয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার জন্যও সংস্থাগুলির শীর্ষ কর্তাদের ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘সত্য গোপন করে’ আবার কোনও সংবাদ প্রকাশিত হলে আদালত অবমাননার জন্য ওই কর্তারাই ব্যক্তিগত ভাবে দায়ী থাকবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy