প্রতীকী ছবি
চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ন’মাসে রাজ্যকে ২০,২৬২ কোটি টাকা খোলা বাজার থেকে ধার নেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের আর্থিক চাপ সামলাতে যার অর্ধেক প্রথম ছ’মাসে তোলার অধিকার দেওয়া হয়েছে। তবে নবান্ন সূত্রের খবর, এতেও অবস্থা সামলানো কঠিন। ফলে টাকা জোগাড়ের বিকল্প রাস্তা হাতড়াচ্ছে অর্থ দফতর।
সূত্রের দাবি, সে ক্ষেত্রে রোজকার খরচ চালানোর জন্য ঝুঁকতে হতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের থেকে সাময়িক ভাবে অগ্রিম (ওয়েস অ্যান্ড মিনস অ্যাডভান্স) নেওয়ার দিকে। রাজকোষে নগদ কমতে কমতে একটা নির্দিষ্ট তলানি ছুঁলে যা নেওয়া যায়। সম্প্রতি রাজ্যের জন্য এই অগ্রিমের অঙ্ক অবশ্য দিনে প্রায় ৯০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ১৫০০ কোটি করেছে আরবিআই। তবে নবান্নের অর্থ কর্তাদের একাংশের আশঙ্কা, খরচ যে ভাবে বাড়ছে, তাতে এ বছর হয়তো অগ্রিম-ওভারড্রাফ্টও (বাড়তি ধার) নিতে হবে। যা সাধারণ ভাবে এড়িয়ে চলতেই চায় রাজ্য।
আরবিআই সূত্র বলছে, করোনা যুঝতে রাজস্বে টান পড়তে পারে আঁচ করে রাজ্যগুলিকে ওভারড্রাফট নেওয়ার সুবিধাও বাড়ানো হয়েছে। আগে কোনও রাজ্য টানা ১৪ দিন ওভারড্রাফ্ট নিতে পারত। তা বেড়ে হয়েছে ২১ দিন।
আরও পড়ুন: ঋণ কমাতে আরও লগ্নি জিয়োয়
এর আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে এই অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে (এপ্রিল-জুন) বাজার থেকে ১২০০০ কোটি ধার নিতে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু আরবিআই সূত্রের দাবি, ঋণের সুবিধায় সব রাজ্যের জন্য এক নীতি। রাজ্যের মোট ঋণ নেওয়ার যা ক্ষমতা, তার অর্ধেক তুলতে দেওয়ার হিসেবেই পশ্চিমবঙ্গ প্রথম ন’মাসে ধার নিতে পারবে ২০,২৬২ কোটি। আর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এর মধ্যে প্রায় ১০,০০০ কোটি।
তবে কোভিডের দরুন এপ্রিলেই ৫০০০ কোটি টাকা বেরিয়ে গিয়েছে, জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালুর পরে কর্মীদের বেতন-পেনশন খাতে বেরোচ্ছে ৬৫০০ কোটি। ক’দিন আগে বাজার থেকে আরও ২০০০ কোটি ধার নিয়েছে অর্থ দফতর। অথচ লকডাউনে ব্যবসা-বাণিজ্যে তালা ঝোলায় প্রায় উধাও রাজ্যের নিজস্ব রোজগার। আর তাতেই অশনি সঙ্কেত।
আরও পড়ুন: আমেরিকা-চিন রেষারেষিতে মুছল ৫.৮২ লক্ষ কোটি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy