এয়ার ইন্ডিয়ার সহযোগী সংস্থা অ্যালায়্যান্স।
কলকাতা থেকে আঞ্চলিক উড়ান চালানোর জন্য অনেক হাঁকডাক করেও সে ভাবে কোনও সংস্থাকে পায়নি কেন্দ্র। অথচ এ শহর থেকে ছোট রুটের উড়ান যে লাভজনক হতে পারে, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়ার সহযোগী সংস্থা অ্যালায়্যান্স।
এয়ার ইন্ডিয়া এবং এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ১০০% শেয়ার বেচার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সেই তালিকায় অ্যালায়্যান্স নেই। বিমান পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ভাবে অ্যালায়্যান্স লাভজনক হয়ে উঠলে, তা শেষ পর্যন্ত বিক্রি না-ও করতে পারে সরকার।
সূত্রের খবর, ছোট রুটে মুনাফা দেখা যাচ্ছেই বলে বাড়ানো হচ্ছে বিমানের সংখ্যা। এর আগে তারা নতুন দু’টি ৭২টি আসনের ছোট বিমান, এটিআর-৭২ নিয়ে এসেছিল কলকাতার জন্য। উড়ান সংস্থা সূত্রের খবর, গত মাসে এসেছে তৃতীয়টি। কলকাতা-রাঁচি-ভুবনেশ্বর-বারানসী রুটে যাত্রী নিয়ে যাতায়াত শুরুও করেছে সেটি। অ্যালায়্যান্স কর্তারা জানিয়েছেন, তিনটি বিমানই রাতে কলকাতায় রাখা হচ্ছে। কলকাতা বিমানবন্দরে এক সময়ে এটিআর-৪২ বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং বেস ছিল। তার ইঞ্জিনিয়ারদের অভিজ্ঞতা এখন এটিআর-৭২ বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি সংস্থার।
ডেকান এয়ার থেকে জুম— কলকাতা থেকে আঞ্চলিক উড়ান প্রকল্পে সাড়া দিয়েছিল অনেকেই। কিন্তু অল্প কিছু দিনের মধ্যে পরিষেবা গুটিয়ে নেয় তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, মাটি কামড়ে পড়ে থেকে এখন লাভ হচ্ছে অ্যালায়্যান্সের। যদিও আঞ্চলিক উড়ান প্রকল্পের কোনও সুবিধাই তারা নিচ্ছে না।
সংস্থা সূত্র বলছে, কলকাতা থেকে যে ঝাড়সুগুদা, রায়পুরেরও যে নিয়মিত যাত্রী রয়েছে, তা অ্যালায়্যান্সের উড়ানের যাত্রী সংখ্যা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
একই ছবি কলকাতা থেকে পাসিঘাট, লীলাবাড়ির মতো উত্তর-পূর্ব ভারতের ছোট শহরেরও। হিসেব বলছে, নিয়মিত ডিমাপুর, ইম্ফল, তেজপুরের উড়ানও চালানো হচ্ছে এই শহর থেকে। সব মিলিয়ে এখান থেকে গড়ে ৮০% যাত্রী পাচ্ছে অ্যালায়্যান্স, যা সংস্থাটির জমি পোক্ত হওয়ার বার্তা দিচ্ছে বলেই দাবি অ্যালায়্যান্স কর্তৃপক্ষের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy