— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দীর্ঘদিন ধরেই কর্মচারী ভবিষ্য নিধি বা ইপিএফ-এর ন্যূনতম পেনশন ১০০০ টাকা থেকে বাড়ানোর দাবি উঠছে। কিন্তু এখনও কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক এতে সায় দেয়নি। শ্রম মন্ত্রক সূত্র বলছে, অর্থ মন্ত্রক নীতিগত ভাবে এর বিরোধী। তবে লোকসভা ভোটের আগে এ বিষয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হলেও হতে পারে।
ইপিএফ-এর প্রায় ৩৪ লক্ষ কর্মচারী মাসে ন্যূনতম ১০০০ টাকা করে পেনশন পান। ২০১৪ সালে শেষ বার ন্যূনতম পেনশন বাড়ানো হয়েছিল। গত বছর শ্রম মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি তার রিপোর্টে জানিয়েছিল, বর্তমান বাজারদরের কথা মাথায় রাখলে মাসে ১০০০ টাকার ন্যূনতম পেনশন কোনও ভাবেই যথেষ্ট নয়। স্থায়ী কমিটির সুপারিশ ছিল, শ্রম মন্ত্রক এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের কাছে সুপারিশ করুক।
সরকারি সূত্রের খবর, শ্রম মন্ত্রকের সুপারিশ সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক এখনও পর্যন্ত জানিয়ে দিয়েছে, এ বিষয়ে এখনই কোনও ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে না। কারণ ৩৪ লক্ষ পেনশনভোগীর জন্য ১ হাজার টাকার ন্যূনতম পেনশনের ব্যবস্থা করতেই সরকারের বছরে ৯০০ থেকে ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে।
শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের বক্তব্য, কর্মচারী ভবিষ্য নিধির অছি পরিষদের প্রায় সমস্ত বৈঠকেই ন্যূনতম পেনশন বাড়ানোর দাবি উঠেছে। কিন্তু শ্রম মন্ত্রক বলেছে, অর্থ মন্ত্রক এতে সায় দিচ্ছে না। প্রসঙ্গত, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগের বছরে শ্রম মন্ত্রক কর্মচারীদের পেনশন প্রকল্প পর্যালোচনা করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের নজরদারি কমিটি তৈরি করেছিল। সেই কমিটি সুপারিশ করেছিল, ন্যূনতম পেনশনের পরিমাণ বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা করা হোক। তখনও অর্থ মন্ত্রক এতে রাজি হয়নি।
সরকারি সূত্রের খবর, ন্যূনতম পেনশন ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকা করা হলে অতিরিক্ত বোঝা কত চাপবে, তারও পর্যালোচনা হয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, এতে বছরে ৫ হাজার কোটি টাকার মতো বোঝা চাপতে পারে। সরকারের চিন্তা হল, এমনিতেই পুরনো পেনশন প্রকল্প ফেরানোর দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন শুরু হয়েছে। তার সঙ্গে ইপিএফ-এর পেনশনভোগীরাও যোগ দিচ্ছেন। শ্রম মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটের আগে এ নিয়ে কিছু হলে তা রাজনৈতিক স্তরেই সিদ্ধান্ত হতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy