প্রতীকী ছবি।
শুধু চলতি অর্থবর্ষেই নয়, ২০২২-২৩ সালেও ভারতের প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধির হার ৯ শতাংশের আশেপাশে থাকবে বলে জানাল মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার রিপোর্ট। করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনের সংক্রমণ এবং তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা সত্ত্বেও। তবে তাদের সতর্কবার্তা, এই বৃদ্ধির বড় অংশই হবে সংগঠিত ক্ষেত্রে। অসংগঠিত ক্ষেত্রের ক্ষতির বিনিময়ে। অর্থাৎ, অতিমারির হানার পর থেকে বিত্তের বৈষম্য যে ভাবে বেড়েছে, সেই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।
২০২০-২১ অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি ৭.৩% সঙ্কুচিত হয়েছিল। প্রথমার্ধে জিডিপি পড়েছিল মন্দার খাদে। সেই নিচু ভিতের নিরিখে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম দুই ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ২০.১% এবং ৮.৪%। ইক্রার মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ার জানান, আগামী মার্চের মধ্যে প্রাপ্ত বয়স্কদের ৮৫%-৯০% প্রতিষেধক পেয়ে যাবেন বলে আশা। প্রতিষেধক পাবে ১৫-১৮ বছর বয়সিরাও। ঘোষণা হয়েছে বুস্টার ডোজ় প্রয়োগের কথাও। এই সমস্ত ধরনের প্রতিষেধকের ঢাল ওমিক্রনের সংক্রমণ থেকে নাগরিকদের কতটা আড়াল করতে পারে সেটাই এখন দেখার। তবে সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য রাজ্যগুলি যদি সাময়িক বিধিনিষেধের পথে হাঁটে তবে অগ্রগতি তাতে কিছুটা ব্যাহত হবে। বিশেষত সেই সমস্ত ক্ষেত্রে যেখানে কর্মীদের পরস্পরের কাছাকাছি থেকে কাজ করতে হয়।
তবে এই সব কিছুর পরেও চলতি ও পরবর্তী, দুই অর্থবর্ষেই আর্থিক বৃদ্ধির হার ৯% করে হতে পারে। তবে ২০২১-২২ সালের চেয়ে পরের বছরের বৃদ্ধিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন নায়ার। কারণ, চলতি অর্থবর্ষের হিসাব কষা হচ্ছে গত বছরের সঙ্কোচনের নিরিখে। পরের বছর তা হবে না। ইক্রার হিসাব, অতিমারির হানা যদি না আসত এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হত, তা হলে ভারতীয় অর্থনীতির যে বৃদ্ধি হত, সেই তুলনায় ২০২১-২৩ অর্থবর্ষে ক্ষতি হতে চলেছে প্রায় ৩৯.৩ লক্ষ কোটি টাকা। তা সত্ত্বেও চাহিদা যে ভাবে বাড়ছে এবং উৎপাদন যতটুকু মাথা তুলছে, তাতে চলতি অর্থবর্ষের শেষ দিকে দেশের শিল্প ক্ষেত্র উৎপাদন ক্ষমতার ৭৫ শতাংশের বেশি ব্যবহার করতে পারবে। তা হলে পরের অর্থবর্ষে মাথা তুলবে বেসরকারি লগ্নিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy