Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Budget 2024

বাজেটে সহজে ঋণ, নিয়ম সরলের দাবি

দেশের অর্থনীতিতে যোগদান এবং কর্মসংস্থানের নিরিখে বড় শিল্পের থেকেও অবদান বেশি ছোট শিল্পের। ফলে বাজেট থেকে তাদের প্রত্যাশাও বেশি।

নির্মলা সীতারামন।

নির্মলা সীতারামন। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪ ০৬:০১
Share: Save:

সহজে ঋণের পাশাপাশি বিবিধ নিয়মের সরলীকরণ এবং ব্যবসা সম্প্রসারণে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো— আসন্ন বাজেটে অর্থমন্ত্রীর কাছে এই দাবিই জানাল ছোট-মাঝারি শিল্পমহল (এমএসএমই)। নোটবন্দি, তড়িঘড়ি জিএসটি চালু এবং লকডাউনের মতো একের পর এক ধাক্কায় জর্জরিত হয়েছিল যারা।

দেশের অর্থনীতিতে যোগদান এবং কর্মসংস্থানের নিরিখে বড় শিল্পের থেকেও অবদান বেশি ছোট শিল্পের। ফলে বাজেট থেকে তাদের প্রত্যাশাও বেশি। রাজ্যে ছোট-মাঝারি সংস্থাগুলির সংগঠন ফসমি-র সভাপতি বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বাজেটে যে দাবিগুলি রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম ক্রেডিট লিঙ্ক ক্যাপিটাল সাবসিডি প্রকল্প ফের চালু করা। ২০২০ সালের মার্চে প্রকল্পটি বন্ধ হয়েছিল। তা চালু করে এর আওতায় আর্থিক সাহায্যের অঙ্ক ১৫ লক্ষ টাকার বেশি করার আর্জি জানিয়েছি কেন্দ্রের কাছে।’’ পাশাপাশি বিশ্বনাথ বলেন, ছোট শিল্প সংস্থাগুলির বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের নানা ধরনের নিয়ম রয়েছে। তা সব ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে এক হওয়া প্রয়োজন। পরিবেশবান্ধব সংস্থা গড়ার মতো প্রস্তাবও দিয়েছেন তাঁরা।

ছোট শিল্পের জন্য কেন্দ্রের কাছে দরবার করেছে বণিকসভা থেকে শুরু করে বিভিন্ন মূল্যায়ন সংস্থাও। ভারত চেম্বারের সভাপতি এন জি খেতানের প্রস্তাব, এই ক্ষেত্রের সংস্থাগুলি যাতে আরও বেশি করে ডিজিটাল ব্যবস্থার শরিক হতে পারে, সে জন্য নীতি আনা জরুরি। বছরে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যবসা করে এমন সংস্থার ই-ওয়ে বিলে সমস্যা হলে এখন ২০০% জরিমানা দিতে হয়। তা ১০০% করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। আর্জি জানিয়েছেন ওই সব সংস্থাকে ই-ইনভয়েস ব্যবস্থার বাইরে আনা এবং তাদের জরিমানায় সুদের হার ১৮% থেকে ১২ শতাংশে নামানোর। এমএসএমই-গুলির অন্যতম সমস্যা হল সহজে নিয়মিত পুঁজির জোগাড়। সেই পথ সরল করা, জিএসটি সংক্রান্ত নানা সমস্যার সমাধান এবং এই শিল্পের জন্য নীতিগত বেশ কিছু বদলের কথা বলেছেন মার্চেন্টস চেম্বারের সভাপতি নমিত বাজোরিয়াও।

দেশের ছোট-মাঝারি সংস্থাগুলির হাত ধরে বিপুল কর্মসংস্থান হয়। অসংগঠিত ক্ষেত্রেরও অধিকাংশটা জুড়ে রয়েছে তারা। যে কারণে বস্ত্র, চর্ম, ক্ষুদ্রশিল্প, হস্তশিল্প, খেলনা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সংস্থার জন্য আরও বেশি সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্ত প্রকল্প দরকার বলে মনে করে কেয়ারএজ রেটিং। সংস্থার কর্তা সচিন গুপ্ত বলেন, সেটা করতে পারলে এই ক্ষেত্রের প্রসার হবে দ্রুত। সুরাহা হবে কর্মীদের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE