রাজ্যের অর্থনীতির আসল মাপকাঠি ধার ও জিডিপি-র অনুপাত। ঋণের অঙ্ক নয়। প্রতীকী ছবি।
শিল্প ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের ভাবমূর্তির সমস্যা দীর্ঘদিনের। যা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে নিয়মিত আক্রমণও করে বিরোধীরা। কিন্তু শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা এবং মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর দাবি, ২০১১ সালের পর থেকে রাজ্যের অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন হয়েছে। শনিবার বণিকসভা সিআইআইয়ের পশ্চিমবঙ্গ শাখার বার্ষিক সভায় সচিবের বক্তব্য, রাজ্যের অর্থনীতির আসল মাপকাঠি ধার ও জিডিপি-র অনুপাত। ঋণের অঙ্ক নয়।
এ দিন শশীর বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গ লগ্নির ‘নিরাপদ’ গন্তব্য। তার পিছনে রয়েছে টানা তিন বার তৈরি হওয়া শক্তিশালী সরকার। মুখ্যসচিবের দাবি, রাজ্যের ভাবমূর্তির সমস্যা চার দশকের। অতীতে এখান থেকে বিনিয়োগ ও শিল্প ক্রমাগত বেরিয়ে গিয়েছে। এই অবস্থার বদল ঘটাতে সময় লাগে। তাঁর আরও বক্তব্য, এ রাজ্যে বহু প্রথম সারির লগ্নিকারী রয়েছেন। যাঁরা এখানে টাকা ঢালেননি, তাঁরাই ভাবমূর্তি নিয়ে বিরূপ কথা বলেন। রাজ্যের ঋণের বোঝা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠলেও মুখ্যসচিবের দাবি, মোট ঋণ রাজ্যের অর্থনীতির মাপকাঠি হতে পারে না। ২০১১ সালে রাজ্যের ধার ও জিডিপির অনুপাত ছিল ৪৫ শতাংশের বেশি। ২০২৩ সালে তা কমে হয়েছে ৩২%।
পাঁজার দাবি, করোনাতেও রাজ্যের কর আদায় বেড়েছে ২০%। কেন্দ্র জিএসটি এবং বিদ্যুৎ শুল্ক বাবদ আয় যথাক্রমে ৩০% ও ৮৯% বেড়েছে। দ্বিবেদী জানান, ২০১১-র ভোটের আগে ন’মাস রাজ্যের ট্রেজ়ারি বন্ধ ছিল। মূলধনী খাতে লগ্নি ছিল বিহারের চেয়েও কম। জিডিপির ০.৭%। ফলেবেতন, পেনশন সবই দেরিতে হত। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা দাঁড়িয়েছে ২ শতাংশের বেশি। যদিও তা জাতীয় অনুপাতের চেয়ে (৩%) কম। তবে রাজ্যে জমি পাওয়ার ক্ষেত্রে এখনও যে সমস্যা আছে তা মেনেছেন তিনি। তাঁর আশ্বাস, লগ্নিতে তা বাধা হবে না।
এ দিন সিআইআইয়ের পশ্চিমবঙ্গ শাখার ২০২৩-২৪ সালের চেয়ারম্যান হয়েছেন অ্যাকুইল’র ম্যানেজিং পার্টনার সুচরিতা বসু এবং ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন টিএসডিপিএল-এর এমডি সন্দীপ কুমার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy