প্রতীকী ছবি
অর্থনীতির ঝুলিতে দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর মাল-মশলা মজুত হয়েছে এমনটা নয়। বরং রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের অর্থনীতিবিদেরা এই প্রথম দেশে মন্দার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তবে সেই সব আশঙ্কা ও উদ্বেগকে তোয়াক্কা না-করে শনিবার গুজরাতি নববর্ষ সম্বৎ ২০৭৭ শুরুর দিনেও নতুন রেকর্ড গড়ে ফেলল শেয়ার বাজার। এক ঘণ্টার মুরত লেনদেনে সেনসেক্স ১৯৪.৯৮ পয়েন্ট উঠে পৌঁছল ৪৩,৬৩৭.৯৮ অঙ্কে। লেনদেনের মাঝে ৪৩,৮৩০.৯৩ ছুঁয়েও এল। আর এক সূচক নিফ্টি ৬০.৩০ পয়েন্ট এগিয়ে থেমেছে ১২,৭৮০.২৫ অঙ্কের নতুন শিখরে। সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, সেনসেক্সের ৪৪ হাজার ও নিফ্টির ১৩ হাজারের মাইলফলক ছোঁয়া এ বার শুধু সময়ের অপেক্ষা।
তবে ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য বিধান দুগার বলছেন, বাজার চূড়ান্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বহু ক্ষেত্রে শেয়ারের দাম যে হারে বেড়েছে, তার সঙ্গে সংস্থার আয়ের সামঞ্জস্য নেই। ফলে যে কোনও সময় বড় পতন হতে পারে। তাই সূচকের উত্থানে খুব বেশি খুশি হওয়ার কারণ নেই। তাঁর কথায়, ‘‘অর্থনীতির বর্তমান সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে সূচকের এই নজিরবিহীন দৌড় ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। ক্ষুদ্র লগ্নিকারীদের সতর্ক থাকা উচিত।’’
যদিও বাজার বিশেষজ্ঞ ও দেকো সিকিউরিটিজ়ের কর্ণধার অজিত দে-র মতো বিশেষজ্ঞদের দাবি, উঁচু বাজারে সব সময়েই সংশোধন আসা উচিত। সেটাই লগ্নিকারীদের ঝুঁকি থেকে বাঁচায়। ফলে বাজার যদি বড় পতনের মুখে পড়ে অনেকটা নামে ও বিভিন্ন সংস্থার দর কমে, তা হলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বরং অনেকেই বলছেন, সূচক পড়লে তবেই তো ফের লগ্নির সুযোগ খুলবে। তবে তাঁদের মতে, দীর্ঘ মেয়াদে শেয়ার বাজার যে চাঙ্গা থাকবে, তাতে সন্দেহ নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy