রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। —ফাইল চিত্র
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর পদ থেকে ডিসেম্বরে উর্জিত পটেল ইস্তফা দেওয়ার দু’দিনের মাথায় শক্তিকান্ত দাসকে ওই পদে নিয়োগ করেছিল কেন্দ্র। আর তার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়ে গিয়েছিল বিদ্রুপের ঝড়। প্রশ্ন উঠেছিল, ইতিহাসের ছাত্র শক্তিকান্ত কী ভাবে এমন এক প্রতিষ্ঠান সামলাবেন, যার কাজ আদপে দেশের অর্থনীতি নিয়ে? চার চারটে ঋণনীতি পার করে ফেলা শক্তিকান্ত অবশেষে সেই সমালোচনার জবাব দিলেন। সপ্তাহান্তে এক অনুষ্ঠানে গভর্নর বললেন, নীতি তৈরির সময়ে কোন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন, তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হল অভিজ্ঞতা।
এই প্রসঙ্গে দাস তুলেছেন মার্কিন শীর্ষ ব্যাঙ্ক গভর্নর জেরোম পাওয়েল, আইএমএফের সদ্য প্রাক্তন কর্ণধার ক্রিস্টিন ল্যাগার্দে ও জাপানের শীর্ষ ব্যাঙ্ক গভর্নর হারুহিকো কুরোদার কথা। যাঁদের পড়াশোনা যথাক্রমে রাষ্ট্রবিজ্ঞান, আইন ও প্রশাসন নিয়ে।
শক্তিকান্তের আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নরের দায়িত্ব সামলানো পটেল ও রঘুরাম রাজনের পড়াশোনা অবশ্য অর্থনীতি নিয়েই। ২০০৮ সালের বিশ্ব মন্দার পূর্বাভাসের জন্য বিখ্যাত রাজন। আর নগদের চাহিদা ও জোগান নিয়ে (মানিটরি ইকনমিক্স) পটেলের গবেষণাপত্র আলোচিত হয় বিশ্বের নামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। এর চেয়ে শক্তিকান্তের পড়ার জগৎ তো আলাদা বটেই। তার উপরে তিনি কাজ করেছেন আমলা হিসেবে। ২০১৭-এর মে মাসে অবসরের সময়ে ছিলেন আর্থিক বিষয়ক সচিব। আর গভর্নর হওয়ার সময়ে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সদস্য।
অনেকের মতে, কেন্দ্রের সঙ্গে বহু বিষয়ে মতে মেলেনি রাজন ও পটেলের। অথচ নোটবন্দির পরে যে ভাবে অনায়াসে সাংবাদিকদের চোখা প্রশ্ন দাস সামলেছেন, তাই তাঁকেই গভর্নর হিসেবে উপযুক্ত মনে করেছিল কেন্দ্র। বক্তৃতায় শীর্ষ ব্যাঙ্কে রাজন, পটেলের অবদানের কথাও বলেন দাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy