—প্রতীকী চিত্র।
চড়া প্রিমিয়ামের জেরে বহু মানুষ বিমা কিনতে বা চালাতে পারছেন না বলে অভিযোগ। তাই প্রিমিয়ামে ১৮% জিএসটি তোলার দাবি তুলছে বিমা শিল্পের একাংশও। শনিবার বণিকসভা অ্যাসোচ্যামের এক সভায় এর পাশাপাশি বিমা সূচক (ইনশিয়োরেন্স ইনডেক্স) আনার কথাও জানানো হয়েছে। উপস্থিত বিমা শিল্পের প্রতিনিধিরা জানান, ‘ক্লেম’ সংক্রান্ত প্রতারণা বাড়ছে। স্বাস্থ্য বিমার খরচ বেশি দেখানো ছাড়াও জীবন বিমা চেয়ে ভুয়ো নথি জমা হচ্ছে। তাই প্রত্যেক গ্রাহকের জন্য তৈরি হচ্ছে ওই সূচক। বিশদে না জানালেও ইঙ্গিত, এটি হচ্ছে ধার শোধের ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতাদের ভাল-মন্দ বিচারের জন্য থাকা সিবিল-এর ধাঁচেই। চিকিৎসার খরচ বেশি দেখিয়ে বা ভুয়ো নথি দিয়ে জালিয়াতি করলে সূচক কমবে। তবে প্রশ্ন উঠেছে, সূচকের ভিত্তিতে বিমা বিক্রি কি আদৌ যুক্তিযুক্ত? কারণ, বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে চড়া বিল ধরানোর অভিযোগ রয়েছে। গ্রাহকের বিমার দাবি যুক্তিহীন ভাবে বাতিলের অভিযোগ রয়েছে বিমা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধেও। বরং এতে বিমার টাকা পাওয়া আরও কঠিন হতে পারে।
সূচক পরিচালনা করবে ইনশিয়োরেন্স ইনফরমেশন ব্যুরো (আইআইবি)। তবে সেটি কী ভাবে কাজ করবে তার স্পষ্ট রূপরেখা তৈরি হয়নি। জেনারেল ইনশিয়োরেন্স কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ইন্দরজিৎ সিংহ বলেন, বিমা সূচকে গ্রাহকদের সমস্ত তথ্য থাকবে। সৎ বা অসৎ গ্রাহককে বাছতে সুবিধা হবে বিমা বিক্রেতাদের। যদিও এলআইসি-র বিপণন বিভাগের প্রাক্তন আঞ্চলিক কর্তা অরূপ দাশগুপ্তের সতর্কবার্তা, এই সূচককে বিমা প্রকল্প বিক্রির ভিত্তি ধরা হলে সমস্যা হতে পারে। বিমার টাকা দাবির ক্ষেত্রে সব তথ্য সমস্ত গ্রাহকের ক্ষেত্রে একই ভাবে প্রযোজ্য হতে পারে না।
এ দিন বিমার চড়া প্রিমিয়ামের কথা মেনেছেন ইন্দরজিৎ। বলেন, “জিএসটি তোলার দাবি জানিয়েছি। আশা করছি, শীঘ্রই তা উঠবে।’’ উপদেষ্টা প্রাইসওয়াটারহাউস কুপার্সও
এই পরামর্শ দিয়েছে দাবি করে তাদের বিমা ব্যবসার ভারপ্রাপ্ত সহযোগী অমিত রায় বলেন, “বিমার প্রসারে উন্নত দেশগুলির থেকে পিছিয়ে ভারত। ফলে কেন্দ্র ২০৪৭-এর মধ্যে প্রত্যেকের জন্য বিমার যে লক্ষ্য নিয়েছে, তা পূরণে কর তোলা জরুরি।’’
ন্যাশনাল ইনশিয়োরেন্সের জিএম সঞ্জয় লাল্লা বলছেন, ভারত বিমার সম্প্রসারণে ষষ্ঠ বৃহত্তম। ২০২৬-এ এই ব্যবসা ছোঁবে ২২,২০০ কোটি ডলার (প্রায় ১৮,৬৪,৮০০ কোটি টাকা)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy