দীর্ঘ ১৭ বছর বাদে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএলের ২৬২ কোটি টাকা মুনাফা হয়েছে বলে যে প্রচার করছে কেন্দ্র, তার যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। দাবি করল, এই লাভের কারণ সংস্থার কর্মক্ষমতা, ব্যবসা বা আয় বৃদ্ধি নয়। আসলে চলতি বছর ভিত্তিবর্ষ বদল করা হয়েছে। হিসেবের মাপকাঠি বা পদ্ধতিও পরিবর্তিত হয়েছে। তার হাত ধরেই কমেছে খরচ। ফলে বেড়েছে লাভ। ওই মহল সূত্রের বক্তব্য, বিএসএনএলের আয়-ব্যয়ের হিসাবে দেখানো হয়েছে, কর্মীদের পিছনে সংস্থার খরচ কমেছে ৩৩৭ কোটি টাকা। এর একটা বড় অংশ আয় হয়েছে ফাঁকা জমি, দফতরের মতো সম্পত্তি ভাড়া দিয়ে।
পাশাপাশি, স্পেকট্রামের মতো সম্পদ কেনার খরচ নির্দিষ্ট সময় অন্তর সম্পূর্ণ মকুব করা বা অ্যার্মোটাইজ়েশনের হিসাব বদলের ফলেও ৭৮২ কোটি টাকা ক্ষতি কমে গিয়েছে। এর পাশাপাশি, পড়ে থাকা জমি ও সম্পত্তি বিক্রি করে এই সময়ে সংস্থার আয় অনেকখানি বেড়েছে। তাই সংস্থা মুনাফার মুখ দেখেছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের একাংশের। তাঁদের বক্তব্য, এই ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে বিএসএনএলের সামগ্রিক আয় কিংবা ব্যয়ে যে বিরাট পরিবর্তন এসেছে তা নয়। সংস্থার তরফে এই দাবি নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)