Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Financial Corridor

সময়, খরচ কমাবে আর্থিক করিডর

জি২০ সম্মেলনের মধ্যেই ভারত, আমেরিকা, সৌদি আরব, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালির মধ্যে এই আর্থিক করিডর গড়ার সমঝোতাপত্র সই হয়েছে।

An image of G20 Summit

জি২০ সম্মেলন। —ফাইল চিত্র।

প্রেমাংশু চৌধুরী
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৩১
Share: Save:

কিলিয়ান এমবাপের দেশ ফ্রান্সে জাহাজে করে দার্জিলিংয়ের চা পাঠাতে হলে সময় লাগে কমপক্ষে ৩৬ দিন। কিন্তু তা যদি দু’সপ্তাহ আগেই পৌঁছে যায়?

বাণিজ্য মন্ত্রকের আধিকারিকেরা বলছেন, ‘ইন্ডিয়া-মিডল ইস্ট-ইউরোপ ইকনমিক করিডর’ তৈরি হলে ৩৬ দিনের বদলে মাত্র ২২ দিনেই দার্জিলিংয়ের চা থেকে কাশ্মীরের কার্পেট ফ্রান্স, ইটালি বা জার্মানিতে পৌঁছবে। খরচ বাঁচবে ৪০%।

জি২০ সম্মেলনের মধ্যেই ভারত, আমেরিকা, সৌদি আরব, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালির মধ্যে এই আর্থিক করিডর গড়ার সমঝোতাপত্র সই হয়েছে। মোদী সরকারের কর্তাদের বক্তব্য, এই সম্মেলন থেকে ভারতের সবচেয়ে বড় পাওনা এই করিডর। এর সুবাদে দেশের পণ্য পশ্চিম এশিয়া হয়ে দ্রুত ইউরোপে পৌঁছবে। খরচ কমবে ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়া থেকে জিনিসপত্র আমদানিরও।

চিন ২০১৩ সালে ইউরোপের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে পুরনো সিল্ক রুটের আদলে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ নির্মাণে উদ্যোগী হয়। তার এক দশক পরে ভারত-পশ্চিম এশিয়া-ইউরোপ আর্থিক করিডর কি তারই পাল্টা জবাব?
চিনকে লাগাম পরাতে আমেরিকার নতুন ঘুঁটি? চিনের নতুন সিল্ক রুটের বদলে ভারতের নতুন মশলা রুট?

সরকারি সূত্র বলছে, চিন পশ্চিম এশিয়ায় শিকড় ছড়াচ্ছে। তুলনায় পিছিয়ে ভারত। এখন নয়াদিল্লির মূল লক্ষ্য ইউরোপের বাজার। ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালির পরে এই করিডরে গ্রিসও জুড়তে পারে। সম্প্রতি সে দেশে সফর সেরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গ্রিসের বন্দরে ভারতীয় সংস্থার নজর রয়েছে। সেখানেও ঘোষিত লক্ষ্য ইউরোপের বাজার।

প্রাথমিক পরিকল্পনা, প্রায় ৬০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ করিডরে ভারতের পশ্চিম উপকূলে মুম্বই বা গুজরাতের বন্দর থেকে জাহাজে পণ্য যাবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। তার পরে সৌদি আরব, জর্ডনের মধ্যে দিয়ে রেল পথে যাবে ইজরায়েলে। সেখানে হাইফা বন্দর থেকে জাহাজে পৌঁছবে ইটালি, ফ্রান্সে। ভবিষ্যতে গ্রিসেও। মুন্দ্রা, কান্ডলা ও জেএনপিটি বন্দর থেকে দুবাইয়ে পণ্য চলাচল বহু গুণ বাড়বে।

আজ সৌদি প্রধানমন্ত্রী তথা যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের সঙ্গে বৈঠকে ফের করিডরের গুরুত্ব উল্লেখ করে মোদী বলেন, এটি ভারত, পশ্চিম এশিয়া, ইউরোপের মধ্যে সহযোগিতা পোক্ত করবে। প্রকল্পটিতে কে লাভবান হবেন, তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে বিরোধী শিবিরে। কারণ ভারতের পশ্চিম উপকূলের অধিকাংশ বন্দর আদানিদের। তারা গ্রিসের বন্দরও কিনতে চায়ে বলে মোদীর সফর শেষে জানা গিয়েছিল। বিরোধীরা আরও তথ্য প্রকাশ্যে আসার অপেক্ষায়।

অন্য বিষয়গুলি:

G20 Summit 2023 India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy