লক্ষ্মীবারে লগ্নিকারীদের লক্ষ্মীলাভ! ফের ১,৫০০ পয়েন্টের বেশি বাড়ল সেনসেক্স। ঊর্ধ্বমুখী নিফটিও। এই নিয়ে টানা চার দিন উপরেই রইল শেয়ার সূচক। ষাঁড়ের দুরন্ত গতিতে ছোটার নেপথ্যে একাধিক কারণের উল্লেখ্য করেছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। বাজারে এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলে আশাবাদী তাঁরা।
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) খোলার সময়ে ৭৬ হাজার ৯৬৮তে দাঁড়িয়ে ছিল সূচক। দিনের শেষে সেনসেক্স পৌঁছয় ৭৮,৫৫৩.২০ পয়েন্টে। অর্থাৎ মোট ১,৫০৮.৯১ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে এই বাজার। শতাংশের হিসাবে যেটা ১.৯৬। একই ছবি দেখা গিয়েছে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জেও (এনএসই)।
এ দিন বাজার বন্ধ হলে দেখা যায় ৪১৪.৪৫ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে নিফটি ৫০। অর্থাৎ ১.৭৭ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে এই সূচক। দিনের শেষে ২৩,৮৫১.৬৫ পয়েন্টে পৌঁছে দৌড় থামায় নিফটি ৫০। বাজার চাঙ্গা থাকায় এ দিন ২,৩৪০টি শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দর পড়েছে ১,৪৬৮টি স্টকের। অন্য দিকে ১৪৯টি শেয়ারের দামের কোনও পরিবর্তন হয়নি।
ব্রোকারেজ সংস্থাগুলি জানিয়েছে, লক্ষ্মীবারে দিনভর সবুজ জ়োনে থেকেছে সমস্ত শ্রেণির শেয়ার। রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক, তেল ও গ্যাস, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম নির্মাণকারী সংস্থা, গাড়ি ও যন্ত্রাংশ নির্মাণকারী সংস্থা এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির স্টকের মূল্য এক থেকে দু’শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ ছাড়া বিএসইতে মাঝারি ও ছোট পুঁজির সংস্থাগুলির সূচক বেড়েছে ০.৫ শতাংশ। নিফটিতে সর্বাধিক লাভবান হয়েছে ভারতী এয়ারটেল, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, বজাজ ফিন্যান্স, সান ফার্মা এবং ইটারনালের লগ্নিকারীরা। কিন্তু উইপ্রো, হিরো মোটোকর্প, টেক মাহিন্দ্রা, কোল ইন্ডিয়া এবং জেএসডব্লিইউ স্টিলের বিনিয়োগের লোকসানের মুখ দেখতে হয়েছে।
বিশ্লেষকদের দাবি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাবে বাজারের শুরু হয়েছিল রক্তক্ষরণ। কিন্তু ৯০ দিনের জন্য তিনি সেটি স্থগিত করতেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেয়ার সূচক। তা ছাড়া দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে লগ্নিকারীরা ভারতীয় বাজারের উপর আস্থা দেখাতে শুরু করেছেন।
এ বছরের মার্চে হ্রাস পেয়েছে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির অঙ্ক। ফেব্রুয়ারিতে এটি ছিল ৩.৬১ শতাংশ। সেখান থেকে তা ৩.৩৪ শতাংশে নেমে এসেছে। এ ছাড়া গত দু’টি সেশনে বিদেশি লগ্নিকারীরা নগদ বিভাগে ১০ হাজার কোটির ভারতীয় ইকুইটি কিনেছেন। বাজার চাঙ্গা হওয়ার জন্য একে অন্যতম কারণ হিসাবে উল্লেখ করেছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।