প্রতীকী চিত্র।
উৎসবের মরসুমেও যে দেশের গাড়ি শিল্পের চাকায় গতি ফিরবে না, তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের হিসাবে। এ বার গোটা নভেম্বরের পাইকারি বিক্রির (সংস্থাগুলি যে গাড়ি ডিলারদের বিক্রি করে) তথ্যে তা আরও স্পষ্ট হল। সৌজন্যে সেমিকনডাক্টরের মতো জরুরি বৈদ্যুতিন যন্ত্রাংশের অভাব।
বুধবার পাইকারি ব্যবসার হিসাব প্রকাশ করেছে প্রায় সব গাড়ি সংস্থা। সেই অনুযায়ী, গত বছরের নভেম্বরের তুলনায় গত মাসে অধিকাংশ সংস্থারই বিক্রি কমেছে। মারুতি-সুজ়ুকি ও হুন্ডাই মোটরস জানিয়েছে, সেমিকনডাক্টরের জোগানের সমস্যাই এর প্রধান কারণ। তবে সেই প্রভাব ন্যূনতম রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি তাদের। মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রার যাত্রিবাহী গাড়ির বিক্রি কিছুটা বাড়লেও বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রি কমায় দেশের বাজারে সার্বিক ভাবে তাদের ব্যবসা পড়েছে। যন্ত্রাংশের জোগানের টানাটানির কথা বলেছেন এই সংস্থাটির কর্তাও। গত বছরের তুলনায় বিক্রি কমার তালিকায় রয়েছে এমজি মোটর, হোন্ডা কারস, বজাজ অটো, টিভিএস, রয়্যাল এনফিল্ড, অশোক লেল্যান্ড, মহিন্দ্রা (ট্র্যাক্টর), এসকর্টসের মতো সংস্থাগুলি।
তবে এগিয়েছে নিসান, টাটা মোটরস, টয়োটা কির্লোস্কর। টাটা মোটরসের বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি গত বছরের চেয়ে এ বারে বহুগুণ বেড়েছে। যদিও তাদের প্রথাগত জ্বালানির গাড়ির তুলনায় বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি এখনও অনেক কম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy