—প্রতীকী ছবি।
গত ক’বছর ধরে ভারতের বাজারে প্রথমবার শেয়ার ছেড়েছে (আইপিও) একাধিক সংস্থা। তুলেছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। কিন্তু তাদের মধ্যে বেশ কয়েকটির ক্ষেত্রে মার্চেন্ট ব্যাঙ্কারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে জানাল সেবি। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে বাজার নিয়ন্ত্রকটির চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচ বলেন, তিনটি মার্চেন্ট ব্যাঙ্কারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। যার মধ্যে রয়েছে কোনও সংস্থার শেয়ারে কত আবেদন জমা পড়েছে, তা বাড়িয়ে দেখানো। লগ্নিকারীদের স্বার্থ রক্ষায় ওই সব ব্যাঙ্কােরর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন তাঁরা। তবে ওই তিন সংস্থার নাম জানাতে চাননি তিনি।
বুচ জানান, ইতিমধ্যেই এই ধরনের অভিযোগের তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যক্তির নাম ব্যবহার করে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে লেনদেন করা হয়েছে। কোনও ক্ষেত্রে সংস্থার আইপিও বেশি সফল হয়েছে বোঝাতে সেগুলিতে আর্জির সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। এতে সাধারণ লগ্নিকারীরা তাদের শেয়ারে উৎসাহী হবেন বলে মনে করা হয়। ফলে আইপিও-র দরের চেয়ে অনেক বেশি দামে সেই শেয়ার এক্সচেঞ্জে নথিবদ্ধ হয়। তবে এর পরেও আইপিও-তে সংস্থার শেয়ারমূল্য বেঁধে দেওয়ার পরিকল্পনা তাঁদের নেই বলেই জানিয়েছেন বুচ। বলেছেন, নিয়ন্ত্রক চায় অনিয়ম যাতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে। সে কারণে লগ্নিকারীদের স্বার্থে তাঁরা ওই সব সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। তৈরি করবেন নতুন নীতিও।
গত বছর এসেছে ৫৮টি নতুন ইসু। ৪০টিতে ১০ গুণের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। ১৬টির ক্ষেত্রে তা ৫০ গুণের বেশি। যেগুলিতে বাড়তি আগ্রহ দেখা গিয়েছে, তাদের বেশির ভাগই অনামী সংস্থা। উল্লেখ্য, আইপিও-তে সংস্থাকে পরামর্শ দেওয়া, প্রস্তাবনাপত্র তৈরি, শেয়ারের দামে মূল্যবন্ধনী স্থির করা, লগ্নিকারীদের কাছে পৌঁছনোর কাজ করে মার্চেন্ট ব্যাঙ্কারগুলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy