—প্রতীকী চিত্র।
কোনও সংস্থার বাজারে ছাড়া সমস্ত শেয়ারের মোট মূল্যকেই বলে ওই সংস্থার ‘মার্কেট ক্যাপিটালাইজ়েশন’। এর ভিত্তিতে সংস্থা কতটা দামি, সে সম্পর্কে ধারণা পান লগ্নিকারী। ওই মার্কেট ক্যাপিটালাইজ়েশন বা শেয়ারের মোট মূল্য হিসাবের নিয়মেই পরিবর্তন আনল বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি। জানাল, এ বার থেকে নির্দিষ্ট একটি দিনের ভিত্তিতে তা নির্ধারিত হবে না। বরং সেই অঙ্ক পেতে নথিবদ্ধ সংস্থার শেয়ারের ছ’মাসের গড় দামের হিসাব কষা বাধ্যতামূলক। উল্লেখ্য, সূচকে কোন সংস্থার কতটা গুরুত্ব তা নির্ধারণের অন্যতম প্রধান ভিত্তি মার্কেট ক্যাপিটালাইজ়েশন।
এখন প্রতি বছর ৩১ মার্চ নথিবদ্ধ প্রতিটি সংস্থার মোট শেয়ারের মূল্য হিসাব হয়। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি হল, প্রতি দিন শেয়ার দর ওঠানামা করে এবং তার ভিত্তিতে পরিবর্তিত হয় ওই মূল্য। মূলত সেই কারণেই ওই হিসাবকে আরও যুক্তিগ্রাহ্য এবং বাস্তবোচিত করতে এই পদক্ষেপ সেবির।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এতে দৈনিক অস্থিরতার কারণে শেয়ারের মান নিয়ে তৈরি হওয়া ধন্দ কিছুটা মিটবে লগ্নিকারীদের। বিনিয়োগের জন্য সংস্থা বাছাইয়ের আগে তার মূল্য বিচার করার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং সহজ হবে। শেয়ারে লগ্নিকারীদের ভুল পথে যাওয়ার আশঙ্কাও কমতে পারে। শেয়ার লেনদেন চালাতে বাজারে নথিবদ্ধ প্রতিটি সংস্থার মোট ছ’মাসের গড় মার্কেট ক্যাপিটালাইজ়েশন নির্ধারণের নতুন এই নিয়ম আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সেবি।
বাজার নিয়ন্ত্রক জানিয়েছে, প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংস্থার প্রতি দিনের মোট শেয়ার মূল্য যা থাকবে, তার গড় হিসাব করে প্রকাশিত হবে মোট শেয়ার মূল্য। এই হিসাব ঠিক করার পদ্ধতি নির্ধারণের জন্য সেবি তাদের পরিচালন পর্ষদের প্রাক্তন পূর্ণ সময়ের সদস্য এস কে মোহান্তির নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিল। ওই কমিটির সুপারিশ অনুসারেই পুরনো নিয়ম সংশোধন করেছে তারা। বাজারে সংস্থার মোট শেয়ার মূল্যের ভিত্তিতে যে সব বিষয় সংশ্লিষ্ট সংস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়, তা কার্যকর হবে তা নির্ধারিত হওয়ার পরে তিন মাস অথবা পরের আর্থিক বছর, যেটি আগে আসবে সে দিন থেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy