শুক্রবার সকাল থেকে জল্পনা শোনা যাচ্ছিল, এ বার থেকে একলপ্তে ২০০০ টাকার বেশি অঙ্কের ইউপিআই লেনদেনের উপরে বসতে চলেছে ১৮% জিএসটি। সেই আশঙ্কায় প্রমাদ গুনছিলেন বহু সাধারণ মানুষ। কারণ, বর্তমানে দেশে নেট লেনদেনের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম এটি। সেই আশঙ্কা কাটিয়ে রাতে কেন্দ্র জানিয়ে দিল, এই খবর একেবারেই ভিত্তিহীন এবং অসত্য। সরকারের কাছে ইউপিআই-এ জিএসটি বসানোর কোনও প্রস্তাব নেই।
কেন্দ্রের দাবি, দেশে ডিজিটাল লেনদেন আরও বাড়াতে আগ্রহী তারা। ছোট অঙ্কের নেট লেনদেনকে জনপ্রিয় করতে প্রতি বছরই বিভিন্ন আর্থিক উৎসাহ দেয় সরকার। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই খাতে ৩৬৩১ কোটি টাকা সহায়তা করা হয়েছে। কেন্দ্র কোনও ভাবেই চায় না ডিজিটাল লেনদেনে কোনও অতিরিক্ত কর বসাতে। বরং যাতে আরও বেশি মানুষ এই ধরনের লেনদেন করেন, সেই লক্ষ্যেই পরিকল্পনা করছে তারা। তার উপরে ইউপিআই লেনদেনে এমডিআর (লেনদেন সম্পূর্ণ করতে এক ব্যবসায়ী বা সংস্থা অন্যদের যে চার্জ দেয়) বসে না। ফলে তার উপরে জিএসটি নেওয়ারও প্রশ্ন নেই বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রক।
প্রসঙ্গত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য বলছে, মার্চে দেশে ২৪.৭৭ লক্ষ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে ইউপিআই-এর মাধ্যমে। যা ফেব্রুয়ারির চেয়ে প্রায় ১৩% বেশি। আর মোট লেনদেনের সংখ্যা ১৮৩০ কোটি। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এর থেকেই স্পষ্ট যদি নির্দিষ্ট অঙ্কের লেনদেনের উপরে জিএসটি বসলে, কত মানুষ সমস্যায় পড়তেন। ফলে আপাতত স্বস্তি পেলেন তাঁরা।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)