ফাইল চিত্র।
জিএসটি চালুর পর পাঁচ বছর পার হয়েছে। অভিন্ন কর কাঠামোর মধ্যে এসেছে সারা দেশ। তা সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন রাজ্যে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার বিভিন্ন রকম। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তার ফারাকও বিরাট। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এর প্রধান কারণ স্থানীয় কর এবং সরবরাহ ব্যবস্থা। এই অবস্থায় মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কেন্দ্রকে বার্তা দিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে।
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে নিয়মিত তোপ দেগে চলেছে বিরোধীরা। ঠিক সেই সময়ে ভারতীয় কিসান সঙ্ঘের এক কর্মসূচিতে হোসাবলের বক্তব্য, অত্যাবশ্যক পণ্যের দামকে আয়ত্তে আনার চেষ্টা করতে হবে সরকারকে। তিনি বলেন, ‘‘খাদ্যের দাম ও মূল্যবৃদ্ধির সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। মানুষ চান খাদ্য, বস্ত্র ও বাড়ির দাম নাগালে আসুক। কারণ, সেটাই তাঁদের প্রাথমিক চাহিদা।’’
জুনে দেশের খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৭.০১%। কিন্তু মূল্য সূচকের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, গত মাসে বিহারে মূল্যবৃদ্ধির হার যেখানে ৪.৭% ছিল, সেখানে তেলঙ্গানায় তা ছিল ১০.৫%। অল ইন্ডিয়া কনফেডারেশন অব গুডস ভেহিকল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রাজেন্দ্র সিংহের ব্যাখ্যা, ভোগ্যপণ্যের দামের পার্থক্যের বড় কারণ পরিবহণ খরচ। যার ৪০%-৬০% নির্ভর করে ডিজ়েলের দামের উপর। আনাজের মতো পচনশীল পণ্য পরিবহণের জন্য গাড়ির মালিকেরা যাওয়া-আসার খরচ নেন। দূরপাল্লার পরিবহণে নেন এক পিঠের খরচ। আর উৎপাদন শুল্ক সারা দেশে এক থাকলেও তেলে যুক্তমূল্য কর (ভ্যাট) এক এক রাজ্যে এক এক রকম। যা তার দামে প্রভাব ফেলে। যেমন অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে ডিজ়েলের দাম বেশি। তিনি জানান, রাস্তায় বেশি সংখ্যায় টোল থাকলেও বাড়ে খরচ। ফলে সব মিলিয়ে এর প্রভাব পড়ে মূল্যবৃদ্ধির উপরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy