ফাইল চিত্র।
মাঝে মধ্যে সামান্য বিরতি দিয়ে প্রায় নিয়মিত নতুন রেকর্ড গড়ে চলেছে পেট্রল-ডিজ়েল। রেহাই মিলছে না উৎসবের মরসুমেও। গত পাঁচ দিন টানা বেড়ে সারা দেশেই দুই পরিবহণ জ্বালানির দর পৌঁছে গিয়েছে নতুন সর্বকালীন উচ্চতায়। এই অবস্থায় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম লোকাল সার্কলসের এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, উৎসবের সময়ে দেশের বড় শহরগুলিতে কেনাকাটা বাড়ছে ঠিকই, কিন্তু সাধারণ মানুষ তা করছেন খরচ সম্পর্কে সচেতন হয়েই। আর বাজেট সম্পর্কে তাঁদের সচেতনতা বাড়িয়েছে পেট্রল-ডিজ়েল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসপত্রের বর্ধিত দাম। গত কয়েক মাসে পকেট বুঝে খরচের এই প্রবণতা বেড়েছে। আজ, সোমবার অবশ্য তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
করোনাকালে গত দেড় বছরে একাধিক বার পেট্রল-ডিজ়েলের উৎপাদন শুল্ক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দামও মাথাচাড়া দেওয়ায় নিয়মিত বেড়ে চলেছে পেট্রোপণ্য দু’টির দাম। অভিযোগ, এই সময়ের মধ্যে কখনও সখনও অশোধিত তেলের দাম কমলেও তার পুরো সুবিধা মানুষকে দেওয়া হয়নি। এই অবস্থায় দেশের প্রায় সমস্ত জায়গায় লিটার প্রতি পেট্রলের দাম ১০০ টাকা পার করে ফেলেছে। ডিজ়েল ওই সীমা পেরিয়েছে প্রায় দেড় ডজন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। পরিবহণ জ্বালানির এই বর্ধিত দামের ফলে বেড়ে চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও। বিশেষজ্ঞেরা অনেক দিন ধরেই আলোচনা করছেন, অত্যাবশ্যক পণ্যের পিছনে যদি সাধারণ মানুষের খরচ বাড়তে থাকে, তবে তার বিরূপ প্রভাব পড়বে বৈদ্যুতিন, বিলাসবহুল পণ্য-সহ অন্যান্য পণ্যের বাজারে। লোকাল সার্কলসের সমীক্ষায় তার লক্ষণ কিছুটা ফুটে উঠেছে। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই-সহ দেশের ১০টি বড় শহরের প্রায় ৬১ হাজার পরিবারের মধ্যে অনলাইন সমীক্ষা চালিয়েছিল সংস্থাটি। সেই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বাজেটের ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি সব সময়েই ইতিবাচক। কিন্তু সেই সঙ্গে সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সচিন তাপারিয়ার বক্তব্য, ‘‘গত ৩০ দিনে এই ১০টি শহরের বাসিন্দাদের বড় অংশই জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর বাড়তে থাকা দাম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জানিয়েছেন উৎসবের মরসুমের কেনাকাটার সময়ে বাজেট সম্পর্কে সতর্কতার কথা।’’ রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বাজেট নিয়ে এই সতর্কতা বেশি কলকাতা, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, গুরুগ্রাম, পুণে ও আমদাবাদে।
মূলত ডিজ়েলের দামের জন্যই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পরিবহণ খরচের হেরফের হয়। মেট্রো শহরগুলির মধ্যে মুম্বই এবং চেন্নাইয়ে সেই দাম ১০০ টাকা পার করেছে। পশ্চিমবঙ্গে তা হয়েছে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, বহরমপুর, পুরুলিয়া, কৃষ্ণনগরে। কলকাতাতেও ডিজ়েল সেঞ্চুরির দরজায় টোকা মারছে। ফলে উৎসবের মরসুমেও খরচের আগে পাঁচবার ভাবতে হচ্ছে
সাধারণ মানুষকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy